ভারতে ভোট উৎসব শুরু, কার দখলে যাচ্ছে দিল্লির মসনদ?

পিবিএ ডেস্ক:বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৭তম লোকসভা প্রথম ধাপের ভোট উৎসব শুরু হয়েছে।আজ প্রথম দফার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে দেশের ১৮টি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯১টি লোকসভা কেন্দ্রে।একইসঙ্গে চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটও হচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, অরুণাচল প্রদেশসহ একাধিক রাজ্যে প্রথম দফায়ই সব আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ পর্ব চলবে ৬টা পর্যন্ত।এবার ১৯ মে পর্যন্ত মোট সাত দফায় ভোট নেওয়া হবে।

নানা প্রতিশ্রুতি, পাল্লাপাল্টি অভিযোগ, কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনা, মাওবাদী হামলায় বিধায়কের মৃত্যুর মত ঘটন অঘটন পেরিয়ে ভারতে এই চূড়ান্ত ভোটযুদ্ধ শুরু হয়েছে । ৯০ কোটি ভোটারের এই নির্বাচনকে বলা হচ্ছে বিশ্বের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ নির্বাচন।

ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ লোকসভার ৫৪৩টি আসনে ভোট হবে। সরকার গঠন করতে হলে অন্তত ২৭২টি আসন পেতে হবে একটি দলকে।সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের সব ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে ২৩ মে হবে গণনা; সেদিনই জানা যাবে, কে যাচ্ছেন দিল্লির মসনদে।

বিবিসি লিখেছে, ভারতের এবারের সাধারণ নির্বাচনকে দেখা হচ্ছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গ্রহণযোগ্যতা যাচাইয়ের পরীক্ষা হিসেবে।

মোদীর দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে মূল লড়াইটা হবে ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরাতন দল ভারতীয় কংগ্রেসের, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী।

ভারতে ভোট হয় যথেষ্ট উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে। ছবি: এপি

বিভিন্ন জনমত জরিপে মোদীর দলের এগিয়ে থাকার আভাস মিললেও রাজ্যের ফলাফলে প্রভাবশালী আঞ্চলিক দলগুলোও ভোটের মোড় ঘুরিতে দেওয়ার শক্তি রাখে।

ভারতীয় ভোটারদের দুই-তৃতীয়াংশের বয়স ৩৫ বা তার থেকে কম। এবারের নির্বাচনে ডিজিটাল মিডিয়ার প্রভাব খুবই বেশি। ২০১৪ সালে দেশের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ২৮২টিতে জিতে সরকার গঠন করে বিজেপি।কংগ্রেস জিতেছিল মাত্র ৪৪টি আসনে।

গত নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬৬ শতাংশের বেশি। আর সবগুলো আসনের মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিকটতম প্রার্থীকে ৫ লাখ ৭০ হাজার ১২৮ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন তিনি।

এই দফায় পশ্চিমবঙ্গে মাত্র দুটি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ দুই আসন হচ্ছে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার। দুই আসনে সকাল ৬টার পর থেকেই ভোটদাতারা ভোটকেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। কোচবিহারে মোট বুথ ২০১০টি। তার মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ সংখ্যা ১২৫৩। বাকি ৮৫৭টি বুথে ভোট হবে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তায়।
আলিপুরদুয়ারে মোট বুথ এক হাজার ৮৩৪টি। এর মধ্যে ৫৪৪টিকে স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে মোট ৮১৪টি বুথে।
ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে তারা। বিভিন্ন জরিপে জয়ের ক্ষেত্রে বিজেপিকেই এগিয়ে রাখা হয়েছে। জরিপে আভাস মিলছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনের সাপেক্ষে বিজেপির আসন কমবে, তবে তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটাররাই নির্ধারণ করবেন দিল্লির মসনদে কে বসবেন? সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত। এদিন ফল প্রকাশের কথা রয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি, জি নিউজ।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...