ভারতে আক্রান্ত ১০ হাজার ছুঁইছুঁই, একদিনে মৃত ৫১

মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার থেকে এখন ১০ হাজারের কোটা ছুঁতে চলেছে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের দেওয়া এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ১ এপ্রিলও ভারতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯৯৮ জন। কিন্তু এর পরেই তুমুল গতি বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। এনডিটিভির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখা ৯ হাজার ৩৫২ জনে এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২৪ জনে। এর মধ্যে গতকাল ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে প্রাণ গেছে অন্তত ৫১ জনের, যা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে ভারতে সর্বোচ্চ প্রাণহানির রেকর্ড।

এমন পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ধারণা করা হচ্ছে, এই ভাষণে মোদি ভারতজুড়ে লকডাউনের মেয়াদ আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেবেন। এছাড়া নুয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দিকনির্দেশনাও থাকতে পারে তার বক্তব্যে।

দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্র (১৯৮৫), দিল্লি (১১৫৮) এবং তামিলনাড়–তে (১০৪৩)। এ ছাড়া রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গনাতেও আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে পাঁচশ’র ওপরে। পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখনো ১৫২, মারা গেছে মোট ৭ জন।

এ দিকে ভারতে কেবল দরিদ্রদেরই করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হবে বলে গতকাল জানিয়েছে দেশটির সুপ্রিমকোর্ট। তবে কেন্দ্রীয় সরকারকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কারা এই সুবিধা পাবে, কারা পাবে না। পাশাপাশি বেসরকারি ল্যাবরেটরি আইসিএমআর নির্ধারিত খরচেই করোনার পরীক্ষা করতে পারবে বলে জানিয়েছে আদালত।

এর আগে বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে করোনা পরীক্ষার খরচ ৪,৫০০ রুপি নির্ধারণ করে দেয় ভারতের সরকার। গত সপ্তাহে দেশটির সুপ্রিমকোর্ট এক আদেশে জানায়, সারাদেশে সবার করোনা পরীক্ষা বিনামূল্যে করতে হবে। কিন্তু এর পরেই বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলো জানিয়ে দেয়, তাদের পক্ষে বিনামূল্যে এই খরচ করা সম্ভব নয়। এরপর গতকাল এই সিদ্ধান্ত বদলাল শীর্ষ আদালত। এদিন শুনানির সময় বিচারপতিরা বলেন, আমরা দেখেছি সরকার তাদের সেরাটা দিচ্ছে। আমরা আমাদের রায় পরিবর্তিত করছি। আমরা বলতে চাই, সরকার সিদ্ধান্ত নিক কারা বিনামূল্যে এই পরিষেবা পাবে।

আরও পড়ুন...