পিবিএ ডেস্ক: ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটের পরই বিরোধী দলগুলো নতুন করে ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ২০ টিরও বেশি দলের দাবি ৫০ শতাংশ ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট মিলিয়ে দেখতে হবে।
নির্বাচন পক্রিয়া শুরুর আগেই ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলের নেতারা। এবার প্রথম দফার ভোট গ্রহণের পরও একই দাবি করল বিরোধীরা।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমাদের মনে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন আছে। ভিভিপ্যাট এবং ইভিএম যদি মিলিয়ে দেখা না হয় তাহলে ভোটারদের মধ্যে ইভিএম সম্পর্কে আস্থা তৈরি করা যাবে না।
জার্মানির মতো দেশ ২০০৫ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইভিএম ব্যবহার করেছিল। কিন্তু এখন আবার কাগজের ব্যালটেই ফিরে গেছে। নেদারল্যান্ডস ১৯৯০ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ইভিএম ব্যবহার করেছে। এখন তারাও পেপার ব্যালট ব্যবহার করছে। একই ভাবে আয়ারল্যান্ডও ২০০২ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ইভিএম ব্যবহার করার পর অবস্থান পরিবর্তন করে”।
এর আগে চন্দ্রবাবু অভিযোগ করেন, ইভিএমে বড় ধরনের কারচুপি হয়েছে। আর তাই ১৫০টি আসনে আবারও ভোট নেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘ আমি কখনও নির্বাচন কমিশনকে এতটা দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণ করতে দেখিনি। কমিশন কি গণতন্ত্রের পরিহাস করতে চায়! কমিশন বিজেপির শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে। ‘
চন্দ্রবাবুর দাবি , “ভেতরের চিপ কার্ডের সাহায্যে এটিএমে কারচুপি করা যায়। শুধু তাই নয় ইভিএমের অন্য অংশেও গোলমাল করে দেওয়া যায়। আর এসব থেকে রক্ষা করতে ইভিএমের প্রযক্তি বাড়াতে হবে। প্রযুক্তি বদলে যাচ্ছে বলে আমাদের প্রতি ছ’ মাস পরপর মোবাইল ফোন বদলাতে হয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে একই কায়দায় ইভিএম চলে আসছে”।
পিবিএ/এএইচ