পিবিএ ডেস্ক: ভারতের লোকসভায় ৫৪৩টি আসনের ২৩৩ জন সদস্য (এমপি) ফৌজদারি মামলার আসামি। এদের মধ্যে একটা অংশ হত্যা ও ধর্ষণ মামলার আসামি এবং এ তালিকা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে নিউজ সংস্থা এএফপি। এএফপির সংবাদে বলা হয়েছে, লোকসভায় ৫৪৩ জন বিজয়ী এমপিদের মধ্যে ২৩৩ জন এমপির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ঘোষিত ফৌজদারি মামলায় এমপিদের সংখ্যা ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২৩৩ এমপি গণহত্যা, গৃহদ্রব্য, ডাকাতি, ফৌজদারি ভীতি, ইত্যাদি সম্পর্কিত মামলা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সেই সাথে কয়েকে জনের নামে, ধর্ষণ, হত্যার চেষ্টা, অপহরণ, নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের ইত্যাদিসহ গুরুতর ফৌজদারি মামলাও রয়েছে। শনিবার (২৫মে) অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেটিক রিফর্মস(এডিআর) নামের একটি সংস্থা জানিয়েছে, ভারতীয় পার্লামেন্টে অপরাধীদের তালিকা ক্রমে বাড়ছে।
দেশটির পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় এক সদস্যের বিরুদ্ধে নরহত্যা ও দস্যুতাসহ ২০৪টি মামলা রয়েছে। লোকসভায় বিজয়ী ৫৩৯ জনের ওপর জরিপ চালিয়েছে এডিআর। সংস্থাটি বলছে, ২০০৪ সালে তাদের জরিপ শুরু হওয়ার পর ফৌজদারি অপরাধীদের পার্লামেন্ট সদস্য হওয়ার সংখ্যা এটাই সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদন বলছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি থেকে জয়ী ৩০৩ প্রার্থীর মধ্যে ১১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন সন্ত্রাসবাদের দায়ে অভিযুক্ত। কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত ৫২ এমপির মধ্যে ২৯ জন অপরাধী। কেরালার ইডুক্কি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন দীন কুরিয়াকোস। তার বিরুদ্ধে ২০৪টি ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে।
এডিআর বলছে, গত এক দশকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যে গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত আসামিদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, ২০ জনের বিরুদ্ধ হত্যাচেষ্টা ও তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। বিজেপির এমপি প্রজ্ঞা ঠাকুরের বিরুদ্ধে মসজিদে হামলা চালিয়ে ছয়জনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করছেন তিনি।
দলগুলো অনেক সময় তাদের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে আখ্যায়িত করছে।
পিবিএ/আরআই