অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৯ রানে হারার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিকে থাকার জন্য পাকিস্তানের উপরেই নির্ভর করছিল ভারতের ভাগ্য। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের কাছে লো-স্কোরিং এক ম্যাচে হেরে গেল পাকিস্তান। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল হরমানপ্রীত কৌরের ভারত।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ-এ এর শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৫৪ রানে হেরে গেল পাকিস্তান। শেষ চারে গেল কিউই মেয়েরা। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল ভারত। আগে ব্যাট করে নিউ জ়িল্যান্ডের তোলা ১১০ রানের জবাবে পাকিস্তান শেষ ৫৬ রানে।
নিউজিল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলে সেমিতে যেতে পারতো পাকিস্তান। প্রতিপক্ষকে কম রানে আটকে রেখে কাজটা অনেকটা করেই রেখেছি পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিং লাইনআপ। তবে ততটাই খারাপ তাদের ফিল্ডিং। গোটা ম্যাচে পাঁচটি সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন ফিল্ডারেরা। সেগুলি ধরতে পারলে অনেক কম রানে আটকে রাখা সম্ভব হতো কিউইদের।
টসে জিতে নিউ জ়িল্যান্ড আগে ব্যাটিং নেওয়ায় শুরুতেই চাপে পড়েছিল পাকিস্তান। প্রথম পাঁচ ওভারে নিউজিল্যান্ডের রানের গতি খারাপ ছিল না। বিনা উইকেটে ৩৪ রান তুলে দিয়েছিল তারা। সুজি বেটসের ক্যাচ ছাড়েন নাশরা সান্ধু। পরের ওভারে ওপেনার প্লিমারকে আউট করেন তিনিই। অষ্টম ওভারে ওমাইমা ক্যাচ ছাড়েন অ্যামেলিয়া কেরের। রান তুলছিলেন বেটস। তাকেও ফিরিয়ে দেন সান্ধু।
এরপরেই নিজেদের স্লো স্পিনিং বলের সুবিধা নিতে থাকে পাকিস্তান। ব্যাটে-বলে সংযোগে সমস্যা হচ্ছিল দুবাইয়ের মাঠে। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ছয় উইকেট হারিয়ে ১১০ রান তোলে নিউজিল্যান্ড।
নিউ জিল্যান্ডের ইনিংস শেষ হওয়ার পর জানা যায় সেমির সমীকরণ। ১০.৪ ওভারের মধ্যে রান তুলে দিলে ভারত, নিউজিল্যান্ডকে টপকে শেষ চারে যাবে পাকিস্তান। ১০.৪ ওভারের পরে রান তুললে ভারত সেমিফাইনালে যাবে। পাকিস্তান হেরে গেলে নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালে যাবে।
এমন সমীকরণ মাথায় রেখে প্রথম বল থেকে আগ্রাসী খেলতে থাকে পাকিস্তান। প্রথম ওভারে সাত রান ওঠে। তবে দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন আলিয়া রিয়াজ়। তৃতীয় ওভারে মুনিবা আলি ফেরেন বোল্ড হয়ে। চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।
চতুর্থ ওভারে বল করতে আসেন ইডেন কারসন। সেখানে মেইডেন ওভারের কারণে আরও চাপে পড়ে পাকিস্তান। পঞ্চম ওভারে ২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে তারা। ষষ্ঠ ওভারে সিদরা আমিন ফিরে যাওয়ার পরেই নিশ্চিত হয়ে যায় বিশ্বকাপ থেকে ভারত আর পাকিস্তানের বিদায়।
পরের তিনটি ওভারে কোনও উইকেট পড়েনি। মাত্র ২০ রান ওঠে। নির্ধারিত ১০.৪ ওভার হওয়ার আগেই আরও দু’টি উইকেট হারায় তারা। ফিরে যান নিদা দার এবং ওমাইমা। ১২তম ওভারে তিনটি উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের জয়ের আশা এবং ভারতের সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ করে দেন অ্যামেলিয়া।