ভারত প্রথম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান পাচ্ছে

পিবিএ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানের (চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ) পদ তৈরিতে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি। স্বশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন শাখার সঙ্গে সংযোগ রক্ষার পাশাপাশি সরকারের সামরিক পরামর্শদাতার দায়িত্ব পালন হবে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানের কাজ। তিনি হবেন তিন বাহিনীর প্রধানদেরও প্রধান।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকড় জানান, প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান হবেন চার তারকা জেনারেল। সেনা, বিমান কিংবা নৌবাহিনী, যেখান থেকেই নিয়োগ করা হোক না কেনো, এই পদে আসীন ব্যক্তি ভারতের সামরিক বিভাগ সামালবেন। সামরিক বাহিনীর প্রধানদের সমান বেতন হবে তার।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে অনুযায়ী, তিন বাহিনীর প্রধানদের ওপরে থাকবেন প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান। দেশের সমরাস্ত্র কেনা থেকে শুরু করে সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ে কাজ করবেন তিনি। এই পদের মেয়াদ হবে নির্দিষ্ট। তবে তা এখনো ঠিক করা হয়নি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫টি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রে এই পদ রয়েছে।

বর্তমান কাঠামোয় সামরিক বাহিনীর প্রধানদের কমিটির প্রধান হিসেবে আছেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ান। তবে তিনি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান পদের মতো কাজ করেন না। আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবসর নেবেন বর্তমান সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। তার অবসরের পরপরই নতুন সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেবেন মনোজ মুকুন্দ।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, সেনাপ্রধান হিসেবে অবসর নেয়ার পর বিপিন রাওয়াতকে প্রতিরক্ষা প্রধান করার কথা ভাবছে মোদি সরকার। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে কারগিল যুদ্ধের পর নিরাপত্তার ঘাটতি চিহ্নিত করতে গঠিত কমিটি প্রতিরক্ষা প্রধানের পদে নিয়োগের সুপারিশ করার এতদিন পর ভারত প্রতিরক্ষা প্রধানের পদ তৈরি করলো।

চলতি বছরের আগস্টে ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান পদ তৈরির কথা ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমাদের বাহিনী দেশের গর্ব। বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়াতে আমি একটি বড় ঘোষণা দিতে চাই। ভারতে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিয়োগ করা হবে। এর ফলে বাহিনী আরও কার্যকর হয়ে উঠবে।’

প্রধানমন্ত্রী মোদির ঘোষণার পর তার সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের নেতৃত্বে যে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছিল, আজ সেই কমিটির প্রতিবেদন অনুমোদন করে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি। উচ্চপর্যায়ের ওই কমিটি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানের কার্যক্রম ও দায়িত্ব চূড়ান্ত করে।

পিবিএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...