সীমান্তের কাছাকাছি চীনের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি

ভারত সীমান্তের কাছাকাছি বিশ্বের সর্ববৃহৎ চালকহীন বিমান এবং কৌশলগত শক্তিশালী বোমারু বিমান বহর মোতায়েনের মধ্য দিয়ে আক্রমণ ও সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে চীন
সীমান্তের কাছাকাছি চীনের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি ।ছবি:ফাইল

পিবিএ,ডেস্ক: ভারত সীমান্তের কাছাকাছি বিশ্বের সর্ববৃহৎ চালকবিহীন বিমান এবং কৌশলগত শক্তিশালী বোমারু বিমান বহর মোতায়েনের মধ্য দিয়ে আক্রমণ ও সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে চীন। আর এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে এই খবর প্রকাশ করা হয়।

ভারত সীমান্তের কাছাকাছি এলাকার দু’টি বিমানঘাঁটিতে ডিভাইন ইগেল জেট ইউএভি নামের চালকবিহীন বিমান এবং এইচ-৬কে বোমারু বিমান বহর মোতায়েন করছে চীন। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে খবরে আরোও বলা হয়, চালকবিহীন বিমান বা ড্রোন চীনের মালান বিমান ঘাঁটি এবং এইচ-৬কে বোমারু বিমান হোপিং বিমানঘাঁটি থেকে তৎপরতা চালাচ্ছে।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ চালকবিহীন বিমান হিসেবে পরিচিত এই ডিভাইন ইগেল জেট ইউএভি। এর দৈর্ঘ্য ১৫মিটার এবং পাখার আকার ৩৫ থেকে ৪৫ মিটার। এই চালবিকহীন বিমান দিয়ে আমেরিকার স্টিলথ জঙ্গি বিমান এফ-২২ এবং এফ-৩৫কে শনাক্ত করা যায় বলে জানিয়েছে চীন।

অন্যদিকে, চীনের গণমুক্তি ফৌজের বিমান বাহিনী বা পিএলএএএফ’এর এইচ-৬কে বোমারু বিমান সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি তুপলোভ টিইউ-১৬’এর বিমানের উন্নত সংস্করণ। এ বিমানটির দীর্ঘপাল্লার হামলা চালানোর সক্ষমতা রয়েছে। একে কৌশলগত বোমারু বিমান হিসেবে গণ্য করা হয়।

কোনো কোনো খবরে বলা হয়েছে যে, এইচ-৬’র পরমাণু বোমা বহনের সক্ষমতা রয়েছে এবং এ দিয়ে মার্কিন বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের ওপর হামলা করা যাবে। একে চীনের ‘বি-৫২ বোমারু’ বিমান হিসেবেও বলে থাকেন কেউ কেউ।

তিব্বতের হোপিং বিমানঘাঁটিতে চীন এ বোমারু বিমান বহর মোতায়েন করেছে এবং ভারত সীমান্ত থেকে এ ঘাঁটি মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এদিকে মালান বিমান ঘাঁটিটি চীনের সিনজিয়াং স্ব-শাসিত অঞ্চলে অবস্থিত।

এছাড়া ভারতের গোয়েন্দা সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, চীনের ইউসি’তে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রের গোপন ঘাঁটি রয়েছে। এটি ভারতের অরুণাচল প্রদেশ থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ ঘাঁটিতে চীনের ৬২২ ক্ষেপণাস্ত্র বিগ্রেডকে মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও মোতায়েন হয়েছে এখানে।তাছাড়া ভারতের অরুণাচলকেও নিজের অংশ হিসেবে দাবি করে থাকে চীন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত দোকলাম নিয়ে চীন-ভারত টানাপড়েন চলে। বর্তমানে এ টানাপড়েন কিছুটা স্তিমিত হলেও ভারত সংলগ্ন অভিন্ন সীমান্তে আক্রমণ ও সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে চীন। আর চীনের অব্যাহত এ সব তৎপরতায় উদ্বিগ্ন ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী এবং সরকার

পিবিএ/এইচটি

আরও পড়ুন...