ভিউ বাড়ানোর প্রতিযোগিতার কারণে আমাদের নানা ধরণের পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। সাইবার বুলিইংয়ের নেতিবাচক প্রভাব খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এমন মন্তব্য করেছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস।
রবিবার (৬ আগস্ট) তিনি সাইবার বুলিইং সংক্রান্ত এক অভিযোগ নিয়ে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুণ অর রশীদের কার্যালয়ে আসেন। এরপর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
তিনি বলেন, কার বা কোন পেইজের বিরুদ্ধে অভিযোগ তা এখনই বলতে চাচ্ছি না। আমি তো অভিযোগ দিয়েছিই।
অপু বলেন, লাল-শাড়ি সিনেমাটির নির্মাতা আমি। এটি একটি অনুদানের ছবি। কয়েকদিন আগে সুরঙ্গ চলচ্চিত্রটি পাইরেসির শিকার হয়েছিল। এরপর চলচ্চিত্রটির টিম ডিবির কাছে এসেছিলো। পরবর্তীতে গোয়েন্দারা এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনেছে।
তিনি বলেন, লাল শাড়ি ছবিটি আমার অনেক কষ্টের। এই ছবিটি নিয়ে পাইরেসির কথা বলতে আমি ডিভিতে এসেছি আর পাশাপাশি আপনারা জানেন যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইবার বুলিইংটা অনেক বেড়ে গেছে। কারণে-অকারণে ভিউয়ার্স বাড়ানোর আশায় সাইবার বুলিইং করছেন। আর এটা মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে বাধাগ্রস্থ করে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়। কারণ আমরা সবাই পরিবার নিয়ে বসবাস করি। আমাদের একটি অবস্থান আছে। হয়তো আমরা চিত্রনায়িকা কিন্তু বিভিন্ন সময়ে অনেক নিউজের কারণে আমাদের নানা পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।
অপু আরও বলেন, আমি সাইবার বুলিইং এর বিরুদ্ধে একটি সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আবেদন করেছি। সাইবার ক্রাইম এ যারা আছেন তারা আমাকে খুব সুন্দরভাবে আশ্বস্ত করেছেন। আরও একটা কথা বলতে চাই, আমরা আর্টিস্টরা বিভিন্ন দেশে যাই। সেখানে দেশের প্রতিনিধিত্ব করি। এরকমটা হলে আমাদের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এর আগে ডিবি কার্যালয়ে আসার পর অপুর সঙ্গে দুপুরের খাবার খান অতিরিক্ত কমিশনার হারুণ অর রশীদ। এসময় খাবার টেবিলে তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন।
পরে হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারের অভিযোগ নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন অপু বিশ্বাস।