পিবিএ ডেস্ক: যেকোনো মজাদার স্পাইসি খাবার রান্না করার আগে দরকার সস। সুস্বাদু রান্না করার সঙ্গে নিজেদের স্বাস্থ্যের চিন্তা করে বেছে নেয়া হয় নামীদামি ব্র্যান্ডের সসের বোতল। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদান থাকার আশঙ্কা থেকেই যায় এই সস এর মধ্য। সবার কাছেই টমেটো সস মজাদার। কিন্তু জানেন কি শুধু স্বাদে নয় ভিটামিন এর ভালো উৎস টমেটো সস। টমেটো সসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ থাকে। শুধু চোখের জন্যই নয়, বরং চামড়া, হাড় ও দাঁতের গঠনেও কিন্তু ভালো কাজ করে ভিটামিন-এ।
এছাড়াও আরোও অনেক গুন রয়েছে টমেটো সস এর যেমন-
(১) টমেটো সসে উচ্চমাত্রার লাইকোপিন থাকে। লাইকোপিন হলো এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেটি শরীরের অন্তর্নিহিত কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। একই সাথে এটি কোলেস্টেরলের মাত্রাকে উন্নীত করে এবং ক্যান্সার বিশেষ করে ফুসফুস, পাকস্থলী ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এছাড়া ভারি খাবারের পর একটু টমেটোর জুস খেলে তা হজমেও সহায়তা করে।
(২) এতে শর্করার পরিমাণ অনেক কম থাকে। প্রত্যেকবার খাওয়ার সময় ৪ গ্রামেরও কম শর্করা পাওয়া যায়। ডায়েটে তাই শর্করার মাত্রা কম রাখতে এটি খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
(৩) প্রতিদিন এক টবিল চামচ টমেটো সস খেলে চর্বি ০.১ গ্রাম কমে আসে। একই সাথে খাবারটি হৃদরোগের জন্য ক্ষতিকারক চর্বির পরিমাণকেও কমিয়ে দেয়।
(৪) টমেটো সস স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। কারণ এতে অন্যান্য মশলার তুলনায় অনেক কম ক্যালরির উপাদান থাকে। প্রতিদিন ২ টেবিল চামচ টমেটো সস খেলে সপ্তাহে ১ হাজার ১৯০ ক্যালরি কমিয়ে আনা সম্ভব। ওজন কমাতেও কিন্তু খুব ভালোভাবেই কাজ করে এই টমেটো সস।
(৫) নিয়মিত টমেটো সস খেলে হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া রোধ করে। এছাড়া জন্ডিস প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে টমেটো সস। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন এই টমেটো সস।
পিবিএ/ইকে