পিবিএ ডেস্ক: পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে আবারও হত্যার ঘটনা ঘটল ভারতে। এবার পরিবারের সদস্যরা জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করলো বাড়ির নিজ মেয়েকে । মেয়েটির স্বামীও আগুনে পুড়ে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ভয়ানক এই ঘটনাটি ঘটেছে দেশটির মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলায়।
জানা গেছে, মাত্র ছয় মাস আগে ১৯ বছর বয়সী রুক্মিনী রমা ভারতীয়া পরিবারের অমতে ভালবেসে বিয়ে করেছিল মঙ্গেশ চন্দ্রকান্ত রানাসিংকে। কিন্তু মঙ্গেশ আলাদা বর্ণের হওয়ায় রুক্মিণীর পরিবার ওই বিয়ে মেনে নেয়নি।তবে মঙ্গেশের বাড়ি থেকে মেনে নেওয়া হয়েছিল এই বিয়ে। রুক্মিনীর বিয়েতে তাদের বাড়ি থেকে শুধু তার মা এসেছিলেন। বিয়ের পরেও রুক্মিনীর পরিবার এই সম্পর্ক নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল।
আহমেদনগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর নির্মাণ শ্রমিক স্বামীর সঙ্গে সুখেই কাটছিল রুক্মিনীর সংসার। গত ৩০ এপ্রিল রুক্মিনী স্বামীর বাড়ি থেকে তার বাবার বাড়ি নিগোজ গ্রামে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যায়। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর পর পরিবারের সদস্যরা তার উপর নির্যাতন চালায়। এ অবস্থায় রবিবার রুক্মিনী তার স্বামী মঙ্গেশকে ফোন করে তাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে বলে।
স্ত্রীর ফোন পেয়ে তাকে নিতে শ্বশুড়বাড়িতে যায় মঙ্গেশ। কিন্তু তাকে দেখেই ক্ষেপে যান রুক্মিনীর বাবা, কাকা এবং মামা। একটি ঘরে রুক্মিনী ও মঙ্গেশকে আটকে রেখে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন তারা।
ওই দম্পতির চিৎকার শুনে আশেপাশের প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে এবং পুলিশে খবর দেয়। এরপর তাদেরকে পুনে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনদিন পর বুধবার রুক্মিনীর মৃত্যু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আগুনে মঙ্গেশের শরীরের ৪০ ভাগ পুড়ে গেছে। এরই মধ্যে রুক্মিনীর মামা ও কাকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক রুক্মিনীর বাবাকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।
পিবিএ/এফএস