আফ্রিকা মহাদেশের ভারত মহাসাগরে অবস্থিত

অচিরেই দ্বীপরাষ্ট্র সেশেলসে ভিসা চালু হচ্ছে: প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী

সেশেল প্রজাতন্ত্রে চুক্তি
ভিসা চালু সহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে দ্বীপরাষ্ট্র সেশেল প্রজাতন্ত্রে চুক্তি
মো:হাবিবুর রহমান,পিবিএ,সেশেল: আফ্রিকার মহাদেশের ভারত মহাসগরে অবস্থিত দ্বীপ রাষ্ট্র সেশেল প্রজাতন্ত্রে ভিসা চালু ও সেখানে সব সেক্টরে কাজের অধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। সেশেল প্রবাসীদের সকল দাবি অচিরেই পূরণ করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় ৫ টায় আফ্রিকার মহাদেশের ভারত মহাসগরে অবস্থিত দ্বীপ রাষ্ট্র সেশেলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার প্রবাসীদের সঙ্গে মন্ত্রীর মতবিনিময় হয়।
মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, আমি নিজেই সরাসরি কথা বলতে ও যোগাযোগ করতে বিশ্বাস করি । বিশ্বের সকল ভিসা বন্ধ দেশ গুলো আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে কাজ শুরু করেছি।
তিনি আরো বলেন, এখন সিশেল এর ভিসা চালু হবে আর সব সেক্টরে কাজের অধিকার পাবে এবং আপনাদের সকল দাবি অচিরেই পূরণ করব ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আপনারা সবাই ভালো করেই জানেন কি কারণে একটা বছর ভিসা বন্ধ ছিলো! দয়াকরে আর কেউ এমন কিছু করবেন না যেন একেবারেই বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট এবং বন্ধ হয়ে যায়। দালালদের কথায় বিশ্বাস করে বাবার জমি-জমা ও শেষে বৌ এর বাবার জমি-জমা বিক্রি করে বিদেশে আসবেন না।
অবশ্যই খোঁজ খবর নিবেন সে কোন ট্রাভেল এজেন্সির লোক, লাইসেন্স নাম্বার কত, বিস্তারিত যাচাই করে বিদেশে আসলে আশাকরি প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। কোনও এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে লাইসেন্স বাতিল।
মারিশাস ও সেশেল এর বাংলাদেশের হাই কমিশনার রেজিনা আহমেদ বলেন, আমি দায়িত্ব পাওয়ার পরেই সেশেল আসি, আপনার সেশেল এর প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের সাথে আপনার সকল সমস্যার সমাধান খুঁজতে থাকি এবং মন্ত্রী স্যারসহ চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান করতে সকলেই একসাথে আসা এখানে।
রেজিনা আহমেদ বলেন, যে কোন দরকারে আমাকে ফেসবুকের ও ইমেইল মাধ্যমে জানালেই আমি তার সমাধানের চেষ্টা করবো। আমিও আপনাদের মত পরিবার ছেড়ে বিদেশের মাটিতে চাকুরী করি, আমি আপনাদের কষ্ট বুঝি।
বিশেষ অতিথি যুগ্ম সচিব মোঃ ফজলুল করিম বলেন, বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রবাসী মন্ত্রণালয়। এখন আপনারা যেদেশেই কাজ করেন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, এখন কেউ মারা গেলে সরকারি খরচে দেশের মাটিতে পৌঁছে দেওয়া, এয়ারপোর্ট থেকে তার পরিবারের কাছে ৩৫০০০ টাকা খরচের জন্য, এককালীন সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা এবং অসুস্থ হয়ে দেশে আসলে এক লাখ টাকা অনুদান প্রদান করবে এবং সিশেল প্রবাসীরাও ব্যাংক লোন পাবে বাড়ি করার জন্য ।
আরও বক্তব্য রাখেন, উপ-সচিব মোহাম্মদ শাহীন, পরিচালক ডি এম আতিকুর রহমান, ফেব্সকো কনস্ট্রাকশন এর পক্ষে প্রকৌশলী সরদার মো: আমিন,মিলভিউ লি: পরিচালক নুর আলম।
এর আগে আলোচনার শুরুতে প্রবাসীদের পক্ষে সকল দাবি – দাওয়া তুলে ধরেন নিলয় বিল্ডার্সের এম ডি আবুল কালাম আজাদ। প্রধান ছয়টি দাবি হচ্ছে : কনস্যুলেট অফিস,মৃতের লাশ সরকারি খরচে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর, এয়ারপোর্টৈ ভি আই পি মর্যাদা দিতে হবে, প্রবাসীদের কোটা দিতে হবে,পাসপোর্ট রিনিউ ফিস ৩৫ ডলার ও ১০ বছর মেয়াদ এবং বঙ্গবন্ধুর শততম জন্ম বার্ষিকী আনুষ্ঠানিক ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
পিবিএ/ মো:হাবিবুর রহমান/জেডআই

আরও পড়ুন...