ভুল করেও সঙ্গীকে এই কথাটি কখনো বলবেন না

পিবিএ ডেস্কঃ ‘সময় কখনও থাকে না, সময় করে নিতে হয়।’ কথাটা বলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এক লেখক। এটি এখন প্রায়ই অনেকের মুখে শোনা যায়। বিশেষত যারা তার সঙ্গীর সঙ্গে কাটানোর মতো সময় পায় না, তারা হামেশাই এমন কথা বলেন। সঙ্গীর থেকে সময় না পাওয়ায় অনেকের প্রচুর অভিযোগ থাকে। আর যারা সময় দিতে পারে না, তাদেরও সাফাই তৈরি, ‘সময় নেই’। বিশেষজ্ঞরা বলছে এমন কথা বলাটাই ভুল। কখনওই এসব বলা উচিত নয়।

প্রিয় সঙ্গীর সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটাতে কে না চায়। কিন্তু নিত্যদিনের এই ইঁদুরদৌড়ের জীবনে সত্যিই সারাদিনের ক্লান্তির পর সময় দেওয়াটা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্লান্ত লাগলেও চেষ্টা করুন সময় দিকে। কারণ যদি আপনি নিজের উপর জোর না খাটান, এটা ক্রমশ আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে। আর তাছাড়া সঙ্গীও মনে করতে পারে আপনি সময় বের করতে চান না, বা তাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। আর যদি এতটা নাও ভাবে, এটা ভাবতেই পারে আপনার টাইম ম্যানেজমেন্টে গন্ডগোল রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে একবার ঠান্ডা মাথায় ভাবুন, আপনার অফিসের বস যদি আপনাকে কোনও কাজ করতে বলতেন, তাহলে আপনার উত্তর কি হল ‘সময় নেই’?

আপনার জীবনে আপনার পার্টনারের কোনও মূল্য নেই। একথা উলটোদিকের মানুষটি ভাবতেই পারেন। কারণ যদি বারবার সময় না থাকার অজুহাত দিয়ে যান আপনি, তাহলে সঙ্গীর মনে এমন প্রশ্ন আসাটা অস্বাভাবিক নয়। তার কিন্তু এটা মনে হবে না যে আপনি তাকে অবহেলা করছেন। বরং আপনার ‘প্রায়োরিটি’ নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে। দিনের পর দিন আপনার কাছ থেকে সময় না পেলে সঙ্গী ভাবতেই পারেন, তবে কি আপনার জীবনে তাঁর কোনও জায়গাই নেই? আবার এমনও মনে হতে পারে আপনি অ্যাডজাস্ট করতে চাইছেন না। একটা সম্পর্কে সবচেয়ে বড় হল অ্যাডজাস্টমেন্ট। সময় দেওয়া না দেওয়ার ব্যাপারটাও এই অ্যাডজাস্টমেন্টের আওতাতেই পড়ে। এখন এই সময়টাই যদি না দিতে পারা যায়, তাহলে অ্যাডজাস্টমেন্টের উপর তো প্রশ্নচিহ্ন উঠবেই।

যদি আপনার কাছে আজ সময় না থাকে, তবে কখনও থাকবে না। আপনি কীভাবে আপনার টাইম ম্যানেজমেন্ট সারবেন, সেটা একান্তভাবে আপনার উপরেই নির্ভর করে। এর একটা সহজ উপায় আছে। আপনার প্রাধান্যগুলি স্থির করুন। পেশাগত না ব্যক্তিগত জীবন আগে, সেই সিদ্ধান্ত নিন। তাহলেই কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে। নিজেই প্রশ্ন করুন, বিল গেটস, অমিতাভ বচ্চন বা বারাক ওবামা কি কখনও ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে পরিবারকে সময় দেন না?

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...