ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ৪০ জনের বেশি বাংলাদেশি নিখোঁজ

ফাইল ছবি

পিবিএ ডেস্ক:ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ পাড়ি দিতে গিয়ে তিউনিসিয়ার উপকূলে নৌকাডুবিতে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ জন বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন।

লিবিয়ার ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর এ এস এম আশরাফুল ইসলাম মঙ্গলবার ( ১৪ মে) এ তথ্য জানান।

গত শুক্রবার ওই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এ এস এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ভূমধ্যসাগর হয়ে লিবিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশে দুটি নৌকা যায়। এর মধ্যে একটিতে ছিল ৫০ জন ও অন্যটিতে ৭০ জন। প্রথমটি ইতালি পৌঁছাতে পারলেও ডুবে যায় দ্বিতীয়টি।’ ওই নৌকা থেকে ১৪ বাংলাদেশিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান আশরাফুল।

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, ওই নৌকাডুবিতে ৩০ থেকে ৩৫ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

এদিকে, লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস কে সেকেন্দার আলী ও শ্রম কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য তিউনিসিয়ায় রয়েছেন।

এরই মধ্যে নিহত ২৭ জনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস)।

বিডিআরসিএসের দেওয়া তথ্যমতে নিহতরা হলেন—নাসির (নোয়াখালী), কামরান (টঙ্গী), জিল্লুর রহমান, লিমন আহমেদ, আবদুল আজিজ, আহমেদ, জিল্লুর, রাফিক, আয়াত, আমজাল, কাসিম আহমেদ, খোকন, রুবেল, মনির, বেলাল, মারুফ, রিপন (সিলেট), জালাল উদ্দিন ও আল আমিন (কিশোরগঞ্জ), মাহবুব (সুনামগঞ্জ), সজীব (মাদারীপুর), পারভেজ ও কামরুন আহমেদ মারুফ (শরীয়তপুর), শামীম ও ফাহাদ (মৌলভীবাজার), মাহবুব ও নাদিম (সুনামগঞ্জ)।

বিডিআরসিএসের রিস্টোরিং ফ্যামিলি লিংক (আরএফএল) উইংয়ের পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার বলেন, তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্টের মাধ্যমে নৌকাডুবিতে উদ্ধার হওয়া চারজন বাংলাদেশির সঙ্গে কথা বলে নিহত ২৭ জন বাংলাদেশির পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।

এদিকে নিহতদের পরিবার ও উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য হটলাইন নম্বর চালু করেছে বিডিআরসিএস। হটলাইন নম্বরগুলো হলো ৮৮-০২-৪৯৩৫৪২৪৬ ও ০১৮১১৪৫৮৫২১।

জাফর শিকদার জানান, তিউনিসিয়ার রেড ক্রস সোসাইটি, ত্রিপোলিতে বাংলাদেশি দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তাঁরা যেকোনো সংবাদের জন্য সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছেন।

ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে ওই নৌকাডুবিতে অন্তত ৬৫ অভিবাসী নিহত হওয়ার কথা বলে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। তাঁদের মধ্যে ওই সময় ১৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়, যাদের ১৪ জনই বাংলাদেশী।

এদিকে, বেঁচে যাওয়া অনেকের পরিবারের সদস্যরা স্বজনের খোঁজ না পেয়ে রয়েছেন উৎকণ্ঠায়। দুর্ঘটনার এতোদিনেও কোনো খোঁজ-খবর না পেয়ে অনেক পরিবারই ধরে নিয়েছেন তাদের সন্তান আর বেঁচে নেই।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...