ভেজাল ঘি’তে আগুন দিল ইউএনও

খোরশেদ আলম শিমুল, পিবিএ হাটহাজারী(চট্টগ্রাম): হাটহাজারী উপজেলায় ভেজাল ঘি তৈরির কারখানায় চতুর্থ দিনের মত অভিযান চালিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল
আমিন।

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুারি)বেলা সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় দেড় ঘন্টা উপজেলার বুড়িশ্চর ইউনিয়নের কুয়াইশ এলাকার কাউয়ার বাড়িতে কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান ভেজাল ঘি উদ্ধার করে। পরে নষ্ট করার জন্য তা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় অভিযানের খবর পেয়ে কারখানার মালিক ও কারিগররা পালিয়ে যায় ।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার কুয়াইশ এলকায় একটি বাড়ীতে ভাড়া নিয়ে ওই কারখানাটি গড়ে তোলা হয়।পুলিশ তালা ভেঙে কারখানায় ঢোকে অভিযান চালিয়ে জব্দ করা হয় নিম্নমানের ডালডা, জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কৃত্রিম হলুদ রং আর কালচে রঙের ফ্লেভার।

অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে অনেকটা গোপনে ডালডার সঙ্গে রং ও ফ্লেভার মিশিয়ে প্লাস্টিকের কৌটায় ভরে লেবেল লাগিয়ে বেশি দামে বাজারজাত করা হতো। এসময় অভিযানে কারখানাটি থেকে ২০০ লিটার ঘি সদৃশ পদার্থ,‘অনিল ঘোষ এর বাঘাবাড়ী স্পেশাল খাঁটি গাওয়া ঘি’ মুদ্রিত লেবেল, প্লাস্টিকের কৌটা জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলেছি। এ নিয়ে চারটি কারখানা থেকে আনুমানিক ৩ হাজার ৭০০ লিটার ঘি সদৃশ বস্তু ধ্বংস করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, চট্টগ্রাম সহ হাটহাজারীতে বাজারে বাঘাবাড়ী ঘি, অনিল ঘোষের ঘি’র চাহিদা বেশি থাকায় একশ্রেণির কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ‘ঘি সদৃশ পদার্থ’ তৈরি করে বাজারজাত করছে। এ কারণে বাজারে ভোক্তারা শুধু আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ভেজালের কারণে বিভিন্ন জটিল রোগব্যাধিও কিনে নিচ্ছে সাধারন জনগন। তাই আমরা জনস্বার্থ ও জনস্বাস্থ্যের বিষয় বিবেচনায় করে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছি।

পিবিএ/কেএএস/জেডআই

আরও পড়ুন...