আহসান টিটু, ফকিরহাট : ভোট না দিয়ে, ত্রাণ চাওয়ার অপরাধে হাতুরিপেটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাগেরহাটের কচুয়ায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রমজান সরদারকে মারধর করেছে নারী ইউপি সদস্য শিপ্রা রানী দাসের ছেলে ভিক্টর দাস। কচুয়া উপজেলার বাধাল বাজারে শাহাদাতের বন্ধ চায়ের দোকানের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রমজান সরদার এখন বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রমজান সরদার বলেন, বৈলপুর বাজার থেকে মাছ বিক্রি করে বাধাল বাজারের শাহাদাতের বন্ধ চায়ের দোকানের সামনে বসে ছিলাম। হঠাৎ ইউপি সদস্য শিপ্রা রানী দাসের ছেলে ভিক্টর দাসসহ তিনজন আমার কাছে আসে। ভিক্টর আমাকে তার মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি এমন কথা বলেই হাতুরী দিয়ে পেটাতে শুরু করে। সাথে থাকা অন্য দুজনও কিল-ঘুষি শুরু কর। পরে আমার পকেটে থাকা মাছ বিক্রি করা ১৬ হাজার ৭‘শ টাকা নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ওরা পালিয়ে যায়।
রমজান সরদারের মা আবিনুর বেগম জানান, সোমবার বিকেলে বাধাল বাজারে মহিলা মেম্বার শিপ্রা দিদিকে জানাই আমরা কোন ত্রাণ পাইনি। সুযোগ থাকলে আমাদের কিছু দিয়েন। মেম্বার বলেন তোরা কিছু পাবি না, তোরা আমাকে ভোট দিসনি। যারা ভোট দিয়েছে, যারা আামার পিছনে ঘুরেছে তারা সব কিছু পাবে। আমার বাড়িও যাবি না তোরা।
জবাবে আমি বলি, “ঠিক আছে যাব না, তবে ভোট আবার আসবে” বলে আমি চলে আসি। এতে আমার কি অপরাধ হয়েছে! এর পরেও আমার ছেলেকে এভাবে মারধর করল কেন? আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, ইউপি সদস্য শিপ্রা রানী দাসের ছেলে ভিক্টর নেশাগ্রস্থ থাকে সবসময়। সে একাধিকবার গাঁজা খেয়ে এলাকায় মাতলামি করেছে। অনেককে মারধরও করেছে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য শিপ্রা রানী দাস বলেন, একটি শালিস বৈঠক নিয়ে রমজান সরদার আমাকে গালিগালাজ করেছে। তাই রমজানকে আমার ছেলে মারধর করেছে। এটি জানার পরে আমি রমজানকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি এবং ঔষধও কিনে দিয়েছি। এরপরও রমজানের মাকে বলেছি রমজান আগে সুস্থ্য হোক তারপর আমার ছেলের যা বিচার করার তোমরা করিও।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুর রহমান বলেন, মারধরের ঘটনা আমরা শুনেছি। রমজানের পরিবারকে বলেছি লিখিত অভিযোগ দিতে। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
পিবিএ/আহসান টিটু/এমএ