ভয়ঙ্কর বিপদ: চোখ রাখুন সন্তানের উপর

পিবিএ,ঢাকা: ভয়ঙ্কর বিপদ ওৎ পেতে আছে আপনার চারপাশে। এই বিপদে পাঁ দিয়েই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে আপনার ও আশে পাশের কয়েকটি পরিবার। সারাজীবনের কান্না বয়ে বেড়াতে হবে পরিবারের সদস্যদের। তাই এখনই সাবধান হোন । চোখ রাখুন আপনার সন্তানদের উপর। বর্তমানে সমাজের যে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটছে তার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হলো কিশোর গ্যাং। গ্যাংয়ের নাম করে ভয়ঙ্কর অপরাধে জড়িয়ে পরছে স্কুল কলেজের ছোট ছোট বাচ্চারা। এমকি কিশোর গ্যাংয়ের হাতে নৃশংসভাবে ভাবে খুন হচ্ছে কোমলমতি কিশোরেরা। কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধে পরিবারের সারাজীবনের কান্না হয়ে দাঁড়াচ্ছে । স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সমাজের অবহেলায় বেড়ে উঠা কিশোররা নিজেদের মধ্যে তৈরি করছে গ্যাং। একই এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে একধিক গ্যাং। এই গ্যাং গুলোর মাঝে নানা বিষয় নিয়ে চলে দন্দ। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে বেশি সক্রিয় থাকে এই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা । এই গ্যং গুলো তৈরি হচ্ছে ফেসবুক, টুইটার, ইমো, হোয়াটস অ্যাপের মতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে। এমকি গ্যাং গুলোর দেয়া হয় অদ্ভুত অদ্ভুত নাম।

কিশোর গ্যাং গ্রুপের একটি হৃদয় বিদারক ঘটনার স্বাক্ষী হলো গাজিপুর মহানগরের টঙ্গী এলাকার বাসিন্দারা। কিশোর গ্যাংয়ের হাতে নির্মম ভাবে খুন হয়েছে নবম শ্রেণীর ছাত্র শুভ। ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়া হয় শুভোর শরির।

এই ঘটনায় সাথে জড়িত থাকার অপরাধে কিশোর গ্যাংয়ের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটিলিয়ান( র‌্যাব)-১ এর সদস্যরা। র‌্যাবের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ সারওয়ার-বিন কাশেম জানিয়েছেন, এই কিশোর গ্যাং এর ভয়ঙ্কর কর্মকান্ড । তিনি জানান, টঙ্গী ও পাশ্ববরি্ এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ ধরে গড়ে উঠেছে একাধিক কিশোর গ্যাং। এসব গ্যাং গ্রুপ তাদের দেয়া বিভিন্ন নামে পরিচিত। সাধারণত উঠতি বয়সের কিশোরার এসব গ্যাং কালচারের সাথে জড়িত। অভিভাবকদের অবহেলা এবং পশ্চিমা কালচারের অনুকরণে এসব গ্যাং গ্রুপ গুলো গড়ে উঠেছে। এসব গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা স্থানীয় বিভিন্ন স্কুলে নাম মাত্র পড়াশোনা করে, অধিকন্তু তারা দিনের বেশিরভাগ সময় দল বেধে হইহুল্লা করে বেড়ায়। তাদের বেশভূশা চালচলন ও আচার আচারনে সর্বদা একটি অশালীনভাব দেখা যায়। এসব গ্যাং গ্রুপের মাধ্যে মাঝ মাধ্যেই ছোট খাটো বিষয় নিয়ে দ্বন্দ লেগেই থাকে। এই সব ছোট খাটো দ্বন্দ থেকে খুনের ঘটনা ঘটছে।

শুভ হত্যার সাথে জড়িত আটক কিশোর গ্যাংয়ের সাব্বির র‌্যাবকে জানিয়েছিলো তাদের গ্যাংয়ের সদস্যের অপমানের প্রতিশোধ নিতেই হত্যা সাথে জড়িত হয় সে। আরেক আসামি রাব্বু হোসেন রিয়াদ জানিয়েছে গ্যাং গ্রুপের প্রতি আসক্তির কারণে সেও নবগঠিত গ্যাং গ্রুপে সাথে জড়িত হয়। আরেক আসামি নূর মোহাম্মদ রনি জানিয়েছে, গ্যাং কালচারের প্রতি দীর্ঘদিন ঘরে আকৃষ্ট হওয়ায় নবগঠিত গ্যাং গ্রুপের সাথে জড়িত হয়। গ্রুপের লিডারের কথা মতো এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে হত্যাকান্ডের অংশ গ্রহণ করে।

র‌্যাবের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ সারওয়ার – বিন -কাশেম বলেন, সাধারণত যে সকল পরিবারের পিতারা প্রবাসে থাকে তাদের সন্তাদের প্রতি বেশি নজর রাখতে হবে। সন্তানরা কার সাথে চলাচল করছে তার প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে সন্তানরা কি করছে তার উপর বিশেষ নজর রাখতে হবে। হাতে র্স্মাট ফোন দেয়ার আগে চিন্তা করতে হবে।

পিবিএ/বাখ

 

 

 

 

আরও পড়ুন...