পিবিএ ডেস্ক : এবার ‘লাল গ্রহ’ অর্থ্যাৎ মঙ্গলেও দেখা যেতে পারে জোকার বা ক্লাউন! যাদের পায়ে থাকবে ঢাউস জুতো। লাল টুকটুকে তার রং। নাকটা হবে অসম্ভব রকমের লম্বাটে। তারও রংটা হবে লাল। সেই জোকারকে দারুণ দারুণ স্মার্ট হতে হবে। মুখ থেকে তার যে শব্দটা বের হবে, তাতেই যেন হেসে গড়িয়ে পড়েন সকলে। যদিও গড়িয়ে পড়াটা যাবে না। কারণ, মহাকাশে মাইক্রোগ্র্যাভিটির প্রায় শূন্য অভিকর্ষ বলে যে ইচ্ছে হলেও নীচে গড়িয়ে পড়া যায় না!
ভিনগ্রহের ভিন মুলুকে এমন জোকারই পাঠানোর কথা ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশযাত্রীদের উদ্বেগ, উত্তেজনা কমাতে তাদের মজা-মস্করায় ভুলিয়ে রাখতে। তারা খতিয়ে দেখছেন, টানা ১ বা ২ মাস মঙ্গলে থাকার ক্ষেত্রে জোকারদের ভূমিকা কতটা কার্যকরী হতে পারে মহাকাশচারীদের ক্ষেত্রে। আর ৯-১০ বছরের মধ্যে মঙ্গলে প্রথম মহাকাশচারী পাঠাবে নাসা। তাদের টার্গেট ২০২৮ সাল। তা ২০২৩ সালেও হতে পারে। জোর প্রস্তুতি চলছে যার গত এক দশক ধরেই।
কী করবেন জোকাররা?
কিন্তু মঙ্গলের মতো একটা রুখুসুখ পাথুরে গ্রহে পা ছোঁয়ানোর বিপদ তো কম নয়। মারাত্মক তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঝড়-ঝাপটা সইতে হবে মহাকাশচারীদের। আছে যে কোনও সময় গ্রহাণু বা উল্কার আছড়ে পড়ার জোরালো শঙ্কাও। সেই উদ্বেগ থেকে মহাকাশচারীদের যতটা সম্ভব দূরে সরিয়ে রাখতেই মঙ্গলে মহাকাশচারীদের সঙ্গে এক জন জোকার বা ক্লাউন পাঠানোর খুব প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
নাসা এ ব্যাপারে যাদের গবেষণা চালানোর দায়িত্ব দিয়েছে, তাদের অন্যতম ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিদ জেফ্রি জনসন বলছেন, ‘একমাত্র জোকার বা ক্লাউনরাই পারেন মজা-মস্করার মাধ্যমে মহাকাশচারীদের সব রকমের টেনশন কাটিয়ে দিতে। চারপাশ বন্ধ, এমন একটা জায়গায় একটানা দীর্ঘ দিন থাকতে হলে টেনশন, ক্লান্তি, মানসিক অবসাদ আসবেই। যা মহাকাশে আরও বিপজ্জনক মহাকাশচারীদের পক্ষে। কারণ, ক্ষিপ্রতাই তাদের সবচেয়ে বড় গুণ। যা ক্লান্তি, অবসাদ, টেনশনে কমে যেতে বাধ্য। একমাত্র জোকাররাই তা কমাতে পারেন।’
পিবিএ/জিজি