পিবিএ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে গত রোববার বিএনপির ১৪১ জন ও আওয়ামী লীগের তিনজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। বর্তমানে বিএনপির বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৫৫৫ জন। আওয়ামী লীগের বৈধ প্রার্থী ২৭৮ জন। সারা দেশের ৩৫টি সংসদীয় আসনে কারো মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্র অনুযায়ী, সারা দেশের ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই-বাছাই শেষে রোববার তিন হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে দুই হাজার ২৭৯টি বৈধ ও ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন।
২৯৫ সংসদীয় আসনে বিএনপির ৬৯৬ প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। অন্যদিকে ২৬৪ আসনে আওয়ামী লীগের ২৮১ জন মনোনয়ন জমা দেন।
মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে জাতীয় পার্টির ৩৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। জাতীয় পার্টির এখন বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১৯৫ জন।
যাচাই-বাছাইয়ে সবচেয়ে বেশি বাতিল হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র। এতে ৩৮৪ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। নির্বাচনে ৪৯৮ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে বর্তমানে বৈধ প্রার্থী রয়েছেন ১১৪ জন।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি—এলডিপির (ছাতা) ১২ জন বৈধ প্রার্থী রয়েছেন। মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ১৫ জন।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে সর্বোচ্চ ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এ আসনে মোট ২৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এ ছাড়া ঢাকা-১৭ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ১১ জন করে, ফরিদপুর-৪, ময়মনসিংহ-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ও কুমিল্লা-৩ আসনে ১০ জন করে প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
সর্বনিম্ন দুজন প্রার্থী বৈধ হয়েছেন মাদারীপুর-১ আসনে। অন্যদিকে কুমিল্লা-৩ আসনে সর্বোচ্চ ১৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ৬০টি সংসদীয় আসনে কমপক্ষে ১০ জন করে বৈধ প্রার্থী রয়েছেন।
সোমবার প্রথম দিন মোট ৮৪ প্রার্থী আপিল করেছেন বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, প্রথম দিন ৮৩টি মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন জমা পড়ে। একটি আবেদন পড়েছে মনোনয়নপত্র গ্রহণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে।
আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত আপিল গ্রহণ করা হবে। ইসি সচিবালয়ে ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর আপিলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত পুনঃতফসিল অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: