পিবিএ,জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়েই চলেছে মশার উপদ্রব। মশার অতিরিক্ত উপদ্রবে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এখানকার আবাসিক শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যার পরে আবাসিক হলগুলোতে দেখা দিয়েছে মাত্রাতিরিক্ত মশার উপদ্রব। ফলে শিক্ষার্থীদের জন্য পড়ালেখা থেকে শুরু করে হলে অবস্থান করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাতের বেলা কয়েল, মশা মারার স্প্রে ও মশারি কিছু দিয়েই মশার কামড় থেকে রেহাই পাচ্ছেন না তারা। দুপুরে খাবারের পর বিশ্রামের জন্য বিছানায় গেলেও রাতের মতো মশারি টানাতে হয়। অতিরিক্ত মশার কামড়ে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাসের ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক হওয়ায় এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থাকায় মশার উপদ্রব দিন দিন বেড়েই চলেছে বলে ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অা ফ ম কামালউদ্দিন হলের আবাসিক ছাত্র বেলাল মোহাম্মদ বলেন, হলে দিনে কিংবা রাতে কোনও সময়ই স্বাভাবিকভাবে অবস্থান করতে পারছি না। মশার অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে দ্রুতই অসুস্থ হয়ে যাব।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মমিনুর ইসলাম বলেন, মশার অত্যাচারে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছি না। পড়াশোনার পরিবেশ ও মনোযোগ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে। মশার সংখ্যা এতই বেশি কয়েলে ও কাজ হচ্ছে না। ক্যাম্পাসে মশার সমস্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করলেও প্রশাসনের তেমন কোনও নজরদারি নেই। ময়লা আবর্জনা ঠিকভাবে পরিষ্কারের অভাব ও কীটনাশক প্রয়োগের অব্যস্থাপনার এ সমস্যার জন্য দায়ী বলে মনে করেন এ শিক্ষার্থী।
এদিকে ক্যাম্পাসে মশা-মাছি-ছারপোকা নিধন ও স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করতে ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ হতে দপ্তর সম্পাদক আতাউল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রশাসনকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসার মো. নুরুল আমীন বলেন, ‘বিষয়টি আমরা খুব ভালোভাবে অবগত। ইতোমধ্যে মশা নিধনের জন্য সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। গত সপ্তাহে একবার স্প্রে করেছি এ সপ্তাহে আবার শুরু করেছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ফরিদ আহমেদ বলেন, মশা নিধনে হল প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে। প্রশাসন এ বিষয়ে খুবই যত্নবান, দ্রুতই আরো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পিবিএ/বিএইচ