জেনে নিন, মস্তিষ্কের টিউমারের লক্ষণগুলো

পিবিএ ডেস্কঃ অনবরত মাথা ব্যথা হয়ে চলেছে, গা গুলোচ্ছে, মাছে মাছে চোখের সামনে ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে, কিংবা হাঁটতে গিয়ে হঠাৎ চলে যাচ্ছেন? এই ধরণের উপসর্গগুলি কিছুতেই অদেখা করবেন না। হতে পারে আপনার মস্তিষ্কের ভিতর বাসা বাঁধছে প্রাণঘাতী টিউমার। ব্রেন টিউমার হল আপনার মস্তিষ্কে মাংসের ঢেলা বা কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এর ফলে মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশিদিন মাথার মধ্যে এই ধরণের টিউমার বয়ে বেড়ালে তা প্রাণঘাতীও হতে পারে। যে কোনও বয়সেই এই সমস্যা দেখা যেতে পারে। তবে বয়স যত বাড়ে এই সমস্যার ঝুঁকি তত বাড়তে থাকে। আসুন দেখে নেওয়া যাক এই রোগের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ যা কখনওই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।

মাথা ব্যথাঃ মাথা ব্যথা ব্রেন টিউমারের প্রধান উপসর্গ। সকালের দিকে মাথার যন্ত্রণা সবচেয়ে বেশি হয়। ঘনঘন এই যন্ত্রণা হতে থাকে এবং তা একএক সময় অসহ্য হয়ে দাঁড়ায়।

গা গুলোনো/বমিঃ মাথা ব্যথার মতো গা গুলিয়ে ওঠা বা বমি হওয়াও, বিশেষত সকালের দিকে, ব্রেন টিউমারের উপসর্গ হতে পারে।

ঝাপসা দেখাঃ কারো কারো ক্ষেত্রে টিউমার হলে মাঝে মাঝে চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা হতে পারে। কিংবা কোনও জিনিস চিনতে বা কোনও রং বুঝতে সমস্যা হতে পারে।

স্পর্ষের অনুভূতি নষ্ট হয়ঃ অনেকসময় টিউমার মস্তিষ্কের প্রাচীরে হলে স্পর্ষের অনুভূতি হারাতে পারে মানুষ। টিউমার স্নায়ুকে আক্রান্ত করতে পারে ফলে হাত-পা নাড়াতেও অসুবিধে মনে হতে পারে। হাত-পা ভারি ভারি মনে হতে পারে।

মাথা টলে যাওয়াঃ ব্রেন টিউমারের সমস্যায় অনেক সময় সোজা হয়ে দাঁড়ানোটাই মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। হাঁটতে গেলে হঠাৎ করে মাথা টলে যেতে পারে।

কথা জড়িয়ে যাওয়াঃ ব্রেন টিউমারের ফলে অনেক সময় কথা বলাতে সমস্যা হতে পারে, কথা জড়িয়ে যেতে পারে, উচ্চারণ অস্পষ্ট হয়ে যেতে পারে।

ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তিঃ ব্রেন টিউমারের জেরে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে, দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে প্রতিক্ষেত্রে ভুল করা, বিভ্রান্তি তৈরি হওয়া নিয়মিত হয়ে য়ায়।

আচার ব্যবহারে পরিবর্তনঃ যাদের টিউমারের সমস্যা হয়, তাদের ক্ষেত্রে আচার ব্যবহারেও আমুল পরিবর্তন আসে। নতুন তথ্য গ্রহণ করতে পারে না তারা। নম্র স্বভাবের ব্যক্তিও আচমকা খিটখিটে হয়ে যেতে পারে।

মিরগিঃ বারবার অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হল ব্রেন টিউমারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য উপসর্গ। এই ধরণের সমস্যা হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কানে কম শোনাঃ মস্তিষ্কের যেই অংশ আমাদের শ্রবণ ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে সেই অংশে টিউমার হলে কানে শব্দ শুনতে অসুবিধা হবে, এমনকী কালাও হয়ে যেতে পারেন যে রোগী।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...