পিবিএ,নওগাঁ: নওগাঁর মহাদেবপুরে লেপ-তোষক প্রস্তুতকারী কারিগরদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। উপজেলার লেপ-তোষক তৈরির দোকানগুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা। দিন যতই গড়াচ্ছে শীতের প্রকোপ ততই বেশি বাড়ার আশংকায় উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ নতুন নতুন লেপ তৈরি করছে। বছরের অন্যান্য সময় বেচাকেনা কম হলেও শীত মৌসুমে বিক্রি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। বাজারে কম্বলের তুলনায় লেপের দাম কম হওয়ায় চাহিদা বেশি। তুলা পিটিয়ে তা রঙ বেরঙের কাপড়ের তৈরি কাভারে মুড়িয়ে সুই-সুতার ফোড়ে তৈরি করা হয় লেপ-তোষক। খুব দ্রুত শীত নিবারণে উপযোগী এটি। শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোষক তৈরি ও বিক্রি হয় বেশি।
জানা গেছে, অধিক মুনাফা ও বেশি বিক্রির আশায় দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কারিগররা। ক্রেতারাও লেপ-তোষক তৈরির জন্য ভিড় করছেন। শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে অর্ডার নিলেও যথা সময়ে সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে কারিগররা। প্রতিদিন একজন কারিগর ৬-৮ টি লেপ তৈরি করেন। মাত্র ২-৩ মাসের শীত মৌসুমে উপজেলার অর্ধশত কারিগর লেপ-তোষক তৈরি করে পারিশ্রমিকের সঞ্চয় দিয়ে সারা বছর সংসার চালান। মাঝারি ধরনের একটি লেপ বানাতে খরচ হয় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। তোষক বানাতে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়। তবে তুলার প্রকারভেদে লেপ-তোষকের দাম কমবেশি হয়।
লেপ তৈরি করতে আসা উপজেলার সফাপুর গ্রামের রুহুল আমিন বলেন, ‘বেশি বেশি লেপ-তোষক তৈরি করছেন সাধারন মানুষ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দাম একটু বেশি। লেপ-তোষক তৈরির কারিগর ফরিদুল বলেন, ‘সারা বছর তেমন একটা ব্যবসা হয় না। পুরো বছরের ব্যবসা শীতের এই ২-৩ মাসে করতে হয়। শীতের শুরু থেকে ক্রেতারা লেপ-তোষকের দোকানে আসতে থাকেন। এবারো তার ব্যতিক্রম ঘটছে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রকারভেদে লেপ-তোষক তৈরির মজুরি ২০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়। আগের তুলনায় ব্যবসায় প্রতিযোগিতা অনেক বেড়ে গেছে। তাই সামান্য লাভেই ক্রেতা সাধারনের কাজ করে দিতে হয়।
পিবিএ/ইউসুফ আলী সুমন/বিএইচ