পিবিএ, ঢাকা: রংপুরের পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বেগম রোকেয়া। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও নারী জাগরণের অগ্রদূতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি। আর তাকে ঘিরেই বাচিকশিল্পীদের উচ্চারণে ধ্বনিত হলো শৈল্পিক ভাষা
রোববার (০৯ ডিসেম্বর) ছিলো বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যু দিবস। সরকারিভাবে যা ‘রোকেয়া দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে কণ্ঠশীলন পরিবেশন করে আবৃত্তি প্রযোজনা ‘মহীয়সী রোকেয়া’।
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জীবন ও কর্ম নিয়ে সাজানো হয়েছে আবৃত্তির এ পূর্ণাঙ্গ প্রযোজনাটি। লেখকের বিখ্যাত গ্রন্থাবলি ‘অবরোধবাসিনী’, ‘মতিচুর’, ‘সুলতানার স্বপ্ন’, ‘চিঠি-পত্র’ ও ‘পদ্মরাগ’ উপন্যাসের নির্যাস দিয়ে সাজানো ছিল পুরো প্রযোজনা। আর এর নির্দেশনায় ছিলেন গোলাম সারোয়ার।
অনুষ্ঠানের প্রারম্ভকথায় কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, বেগম রোকেয়া ছিলেন নারী শিক্ষার একটি প্রতিষ্ঠান। ঊনবিংশ শতাব্দীর কুসংস্কারাচ্ছন্ন রক্ষণশীল সমাজের শৃঙ্খল ভেঙে নারী জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দেন শিক্ষার আলো। ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে নারীর প্রতি সমাজের অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণের মূলে আঘাত হানেন। তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ বিভিন্ন সমাজ উন্নয়নমূলক কাজের মধ্য দিয়ে পশ্চাৎপদ নারী সমাজকে আলোর পথ দেখান।
‘মহীয়সী রোকেয়া’ প্রযোজনাটির আলোক পরিকল্পনা করেছেন ওয়াসিম আহমেদ, সঙ্গীত পরিকল্পনায় অনিন্দ্য মাহদী, কোরিওগ্রাফিতে ছিলেন সানজিদা আলম আঁখি এবং মঞ্চ পরিকল্পনায় মোস্তফা কামাল। প্রযোজনায় অংশগ্রহণ করেন হাসিনা হাসি, ইলা রহমান, অনন্যা গোস্বামী, খাইরুন নাহার স্নিগ্ধ, রাজিয়া সুলতানা মুক্তা, মিফতাহুল জান্নাত নিপুণ, শিরিন সুলতানা মিথিলা, শাহানা রহমান, আফরিন খান, আয়শা বিনতে খালেক, অনুপমা আলম, রাবেয়া হক, রোখসানা ফেরদৌসী কুইন ও সানজিদা সুলতানা।
পিবিএ/এমটি/এইচএইচ