মহেশখালীতে পানের মূল্যে ধ্বসে চাষিরা হতাশ

পিবিএ, কক্সবাজার: কক্সবাজারের মহেশখালীর মিষ্টি পান যার প্রশংসা ও জনপ্রিয়তা দেশ ছেড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে। অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ঐতিহ্যবাহী এই মিষ্টিপানের চাহিদা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও ভাল নেই এই শিল্পের সাথে জড়িত ৩০ হাজার চাষি । প্রাকৃতিক বিপর্যয়, রোগ-বালাইয়ের উপদ্রব, চাষের উপকরনের মূল্য বৃদ্ধি, বাজার মূল্য ধ্বসের পাশাপাশি ইজারাদারদের অতিরিক্ত টোল আদায় সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত পান চাষীরা।

মহেশখালী কৃষি কর্মকর্তা শামসুল আলমের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালীবাসীর ঐতিহ্যবাহী পেশা হচ্ছে মিষ্টি পানের চাষ। সারা দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মিষ্টি পান উৎপাদিত হয় এই দ্বীপ থেকে। মহেশখালীর ১৬ শত হেক্টর জমিতে চাষ হয় পান। সব ঠিক থাকলে একর প্রতি বছরে উৎপাদিত হয় ২৭ টনের অধিক পান। যার মূল্য দাঁড়ায় ১৬ লাখ টাকা।

এদিকে পানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় চাষীরা যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছেনা। প্রতি বাজারে লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে । কিছু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ির কবলে পড়ে পানের দামে ধ্বস নেমেছে বলে জানা যায়।

কৃষক রবিউল হাসান পিবিএ ’কে জানান, গত চার বাজার আগে যে পানের দাম ২০০-২৫০ টাকা বিক্রি করা হয়েছে সে পান এখন ৪০-৫০ টাকায় ও বিক্রি হচ্ছে না। এতে আমরা চরম হতাশায় রয়েছি।

আরেক কৃষক গোপাল দাস জানান, কিছু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারনে পানের দামে ধ্বস নেমেছে। আমরা পানের সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।এদিকে কীটনাশক ও সারের মূল্য অধিক হওয়ায় খুব একটা সুবিধায় নেই, উল্টো লোকসান গুনতে হচ্ছে।

প্রতিবেদক,

আরও পড়ুন...