পিবিএ,রাবি: মেহেদী হাসান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম পিতার ছয় সন্তানের বড় ছেলে মেহেদী। জমিজমা বলতে তেমন কিছুই নেই। দারিদ্রতার কারণে একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি ৩ টি টিউশনি করিয়ে নিজের থাকা খাওয়ার খরচ চালায় সে এবং বাকি টাকা বাসায় পাঠায়। এমতাবস্থায় তার মা ‘নিউরন ক্যান্সার’ রোগে আক্রান্ত।
সম্প্রতি কর্মরত চিকিৎসরা জানিয়েছেন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অপারেশেন করতে না পারলে বড় ধরণের দূর্ঘটনা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় তিন লক্ষ টাকা। অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার কারণে অপারেশনের জন্য মোটা অংকের টাকা ব্যবস্থা করা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
মায়ের (খাদিজা বেগম) বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মেহেদী হাসান বলেন, মায়ের অবস্থা খুব বেশি ভালো না। যত তারাতারি সম্ভব অপারেশন করতে হবে। এখন স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলেও মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রনা হয়। অপারেশনে বিলম্ব হলে দূর্ঘটনা ঘটতেও পারে। এমতাবস্থায় আমি কি করব বুঝে উঠতে পারছি না।’
এদিকে তার বিভাগের শিক্ষার্থীরা দিন-রাত পরিশ্রম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ, হল এবং রাজশাহী শহরসহ বিভিন্ন পাবলিক স্পটে অর্থ সংগ্রহ করেই চলেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বন্ধ হবার আগে সম্পূর্ণ টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এমতাবস্থায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানায় তারা।
মেহেদীর সহপাঠী রিফাত হাসান আদর বলেন, আমরা আমাদের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সকল বড় ভাই বোনদের সহযোগিতায় আমাদের মায়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মচারী, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নানা শ্রেণিপেশার মানুষের কাছ থেকে ঘুরে ঘুরে টাকা তুলছি। কিন্তু ‘মা’ কে বাঁচাতে এই টাকা যথেষ্ট নয়। আমাদের ‘মা’ কে বাঁচাতে বিত্তবানদের সহযোগিতার হাত প্রয়োজন।
উল্লেখ্য মেহেদী হাসানের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার বালাবাড়ি গ্রামে। সাহায্য’র জন্য নাম্বারে:বিকাশ: ০১৭৫৮০৭০৮২৪ (মেহেদী) ,রকেট: ০১৮৫৬১৫০৬৫০ (মেহেদী),সাহায্যের জন্য যোগাযোগ:সাদমান সাকিব: ০১৭৬৭১৮৬১২৩,রিফাত হাসান আদর: ০১৭২৩৭৮৫৪৫৩।
পিবিএ/এসএফ/হক