চাষাবাদের ট্রাক্টরকে ট্রাক বানিয়ে চলছে সড়কে, বাড়ছে দূর্ঘটনা

মনির হোসেন, পিবিএ, কুমিল্লা: জমিতে চাষাবাদের জন্য ট্রাক্টরকে মালবাহী ট্রাক বানিয়ে সড়কে অবাদে চলাচল করছে । ট্রাক্টারগুলি দীর্ঘদিন বেপরোয়া গতিতে অতিরিক্ত ইট, বালি, সিমেন্ট, রড, টিনসহ বিভিন্ন গৃহনির্মান সামগ্রী বোঝাই করে সড়কে চলাচল করছে। ফলে দূর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। জমি চাষের জন্য তৈরী এ ট্রাক্টারের ব্রেক অত্যন্ত দুর্বল বিধায় সড়কে তাৎক্ষনিক নির্দিষ্ট স্থানে চালকরা এর গতিরোধ করতে পারে না। ফলে সড়কে চলাচলকারী অন্যান্য যানবাহনের যাত্রীরা দূর্ঘটনার স্বীকার হয়ে পঙ্গুত্ববরণসহ প্রানহানীর স্বীকার হয়। ট্রাক্টারের মাঝামাঝি দুটো বড় চাকার কারনে গ্রামীন জনপথের পিচ ঢালা পথ ও মাটির সড়ক ভেঙ্গে যাচ্ছে ।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী সকল “গ্রাম হবে শহর”। কিন্তু কিছুসংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের লাভের জন্যে বিভিন্ন ব্রীক ফিল্ডসহ বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব অবৈধ ট্রাক্টার দিয়ে বিভিন্ন মালামাল ঝুকিপূর্ণভাবে সড়কে চলাচলে সহায়তা করছে। বিকট শব্দে চলাচলকারী এসব ট্রাক্টারের অদক্ষ চালকরা জানে না কোন ট্রাফিক নিয়ম কানুন। তাদের মনমত করে তারা সড়কের মাঝ দিয়ে চলাচল করে। বেক লাইট, হর্ণ, ইন্ডিকেটর লাইট এসবের কোন মানে জানে না চালকরা।

প্রতিদিন কোন না কোন এলাকায় দূর্ঘটনা লেগেই আছে। চালকরা নিজেদের অপরাধ কখনো স্বীকার করে না। উল্টো অন্যান্য বৈধ যানবাহনের চালকদের উপর চড়াও হয়। তারা বিভিন্ন জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে রাস্তার পাশে চুক্তিভিত্তিক জমি ভরাট করে থাকে। তখন একসাথে ১০/১২টি ট্রাক্টর সড়ক দিয়ে এলোপাথারি চলাচল করে। এসময় অন্য যানবাহনরা তাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে। এসব অবৈধ ট্রাক্টার থেকে মুক্তি চায় এলাকার জনগন।

এব্যাপারে আবদুল মতিন খসরু মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস বলেন, সড়কে এসব বেপরোয়া ট্রাক্টর চলাচলের কারণে আমাদের সন্তানরা স্কুলে যেতে ভয় পায়। আমাদের কলেজের ছাত্রীরা প্রতিদিন ঝুকির মধ্যে রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে কলেজে আসা-যাওয়া করে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি করছি, এসব যানবাহন রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়ে বিকল্প হিসাবে পিক-আপ বা অন্য কোন যানবাহন চালু করা ইউক।

এব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া ছিদ্দিকা বলেন, ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। স্থায়ীভাবে ট্রাক্টর বন্ধে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পিবিএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...