পিবিএ:শিশুর কাছে মায়ের দুধের গুরুত্ব এবং উপকারিতা নিশ্চয় প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না এবং যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়, সেটা হলঃ
এটা শিশুর ক্যালোরি, মিনারেল, ভিটামিন, প্রোটিন ইত্যাদি পুষ্টি উপাদানের উৎকৃষ্ট উৎস।
মাতৃদুগ্ধ পানিকারী শিশুরা সহজেই বিভিন্ন রোগব্যাধি সহজেই প্রতিরোধ করতে পারে, যা কিন্তু বোতলে দুধ খাওয়া বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অধরা থেকে যায়।
মাতৃদুগ্ধ শিশুদের হাড় ও অস্থি কঙ্কালের গঠন দৃঢ় এবং মজবুত করে, যা বোতলের দুধ পারে না এবং এটা প্রমাণিত সত্য।
মাতৃদুগ্ধ পানকারী শিশুদের অধিক আই-কিউ মাত্রা প্রমাণিত এবং তাছাড়াও এইসব শিশুরা শিক্ষার ক্ষেত্রে মান নির্ধারণের মাপকাঠিতেও এগিয়ে থাকে।
এটা জন্মের পর থেকে মা এবং বাচ্চার মধ্যে একটা দৃঢ় বন্ধন তৈরি হয়।
ভেজাল, রাসায়নিকের সংযুক্তি, প্রিজারভেটিভের ভয় না থাকার দরুন এটা নিরাপদ বিকল্প।
বোতলের দুধ খাওয়ানোর ঝুঁকি
অ্যালার্জি বেড়ে যাবার ঝুঁকি অনেক বেশী।
হাঁপানি ও ফুসফুসের রোগ বেড়ে যাবার ঝুঁকি।
দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা।
শিশু বয়সে ক্যান্সার হবার ঝুঁকি।
বাচ্চাদের খুব মোটা হয়ে যাবার ঝুঁকি ৪০% বেশী।
হার্টের রোগ বেড়ে যেতে পারে।
জুভেনাইল ডায়াবেটিসের ঝুঁকি।
ঘন ঘন পাকস্থলীর রোগ হবার প্রবণতা।
দুর্বল অস্থিকঙ্কালের কাঠামো।
বুদ্ধির বিকাশ কম।
মাতৃদুগ্ধ এবং বোতলের দুধ… একটা তুলনামূলক আলোচনা
মাতৃদুগ্ধ
পুষ্টির সবচেয়ে ভালো উৎস।
মা এবং শিশুর ভেতরে আবেগ-অনুভূতির বন্ধন তৈরি করে।
সহজেই হজম হয়।
ফরমুলা বা বোতলে দুধ খাওয়ানো
এটা সবসময়ে দ্বিতীয় পছন্দের।
মাতৃত্বের বন্ধন তৈরিতে বিশেষ কোন অবদান নেই।
তুলনামুলক ভাবে দেরীতে হজম হয়।
মাতৃদুগ্ধ
মাতৃদুগ্ধের, সহজাত অ্যান্টিবডি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়।
চাকুরীরত এবং গৃহবধূ… উভয় মায়ের ক্ষেত্রেই উপযুক্ত।
এসআইডিএস (অকস্মাৎ শিশু মৃত্যুর লক্ষণ) প্রতিরোধ করে।
ফরমুলা বা বোতলে দুধ খাওয়ানো
বোতলরে দুধ খাওয়া বাচ্চাদের হার্ট ও ফুসফুসের রোগ, ক্যান্সার, ডায়রিয়া, চর্বি বেড়ে যাওয়া, দুর্বল হাড়ের গঠনের প্রবণতা দেখা যায়।
বোতলে দুধ খাওয়ালে বুদ্ধির বিকাশ কম হয়।
চাকুরীরত মায়েদের ক্ষেত্রে অনেক বেশী যথাযোগ্য।
সদর্থক অবদানের অভাব।
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে একজন মা কি উপকার পাবেন
স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
মা ও শিশুর ভেতরে একটা আবেগ-অনুভূতির বন্ধন তৈরি করে।
বয়সের সাথে সাথে অস্টিওপরোসিস হবার সম্ভাবনা কমায়।
জরায়ু ও ওভারিয়ান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
প্রসব পড়ে ওজন ওজন কমে যায়।
মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনকারী হরমোন কিন্তু প্রজনন হরমোনের নিঃসরণ দমন করতে পারে বলে, গর্ভ নিরোধকের ভূমিকা পালন করে।
সাশ্রয়ী।
পিবিএ/ইকে