পিবিএ ডেস্ক : পেটের দায় বড় দায়, কিন্তু সেখানে সন্তান স্নেহও কি হার মানে? ভারতের চেন্নাইয়ের এক ঘটনা এই প্রশ্নই জোরালো করেছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সূত্রে খবর পেয়ে থাঞ্জাভুরে অভিযান চালিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর লেবার ইনস্পেক্টরের দল। সেখানে উদ্ধার করা হয়েছে ১০ বছরের একটি ছেলেকে। সাইক্লোন ‘গাজা’য় বাবাকে হারানোর পর বাচ্চাটিকে ক্রীতদাস হিসেবে বেঁচে দিয়েছিলেন তার মা। তাও মাত্র ৬০০০ টাকার বিনিময়ে!
২০১৮ সালের ‘গাজা’ বিধ্বস্ত তামিলনাড়ুর এটাই বাস্তব চিত্র! পুলিশ সূত্রে খবর, সাইক্লোনে ছেলেটির বাবা মারা যাওয়ার পর তার মা মহালিঙ্গম নামে গ্রামের বিত্তশালী এক ব্যক্তির কাছে ছেলেকে বেঁচে দেন। ছেলেটিকে প্রতিদিন একবার করে খেতে দেওয়া হত। রোজ দুইশো’রও বেশি ছাগল মাঠে চরাতে নিয়ে যেতে হত তাকে। বিনিময়ে জুটত ৮৫ টাকা। উদ্ধার হওয়া ছেলেটি ইনস্পেক্টরদের জানিয়েছে, তাকে বিক্রি করে যে ৬০০০ টাকা মিলেছিল, তা দিয়ে তার বাবার শেষকৃত্য করা হয়েছিল।
সাইক্লোন বিধ্বস্ত তামিলনাড়ুতে সে সময় একাধিক পরিবারে এমন শিশু বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। ঘটিবাটি বিক্রি করে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন সব হারানো মানুষগুলো। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাই জানিয়েছে, আরও তিনটি বাচ্চাকে এভাবে বেঁচে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের বাবা-মায়ের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মহালিঙ্গমের কাছেই ওই তিনজনকে বিক্রি করা হয়েছিল বলে খবর। মহালিঙ্গমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও সে এখন ফেরার। উদ্ধার হওয়া কিশোরকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। গত বছর থাঞ্জাভুরেই এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছিল। ‘গাজা’য় সর্বস্ব হারানো একটি পরিবার তাদের ১২ বছরের সন্তানকে ধনী পরিবারের হাতে বিক্রি করে দিয়েছিল।
পিবিএ/জিজি