মাথা ন্যাড়া করা কি ভালো? বিজ্ঞান কী বলছে?

পিবিএ ডেস্ক: জন্মের পরপরই শিশুর মাথা কামিয়ে দিলে আরও ভালো চুল গজায় বলে অনেকেরই বিশ্বাস। অনেকেই জন্মের পর চুল কামিয়ে দেওয়ায় বিশ্বাসী। এর ফলে যে চুল গজাবে, তা ঘন ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হবে বলে মনে করা হয়। হিন্দু শাস্ত্রে বাচ্চাদের মাথা কামিয়ে দেওয়ার এই প্রথা মুণ্ডন নামে পরিচিত।

কিন্তু সত্যিই কি মাথা ন্যাড়া করার সঙ্গে ভালো চুল গজানোর সম্পর্ক রয়েছে? বিজ্ঞান কিন্তু তা বলছে না। জন্মের সময় শিশুর মাথায় যে চুল থাকে, তা সাধারণত পাতলা ও নরম হয়। এই চুল এমনিতেও একটা বয়সের পর ঝরে গিয়ে নতুন চুল গজায়। ঠিক যেমন দুধে দাঁত পড়ে গিয়ে নতুন দাঁত গজায়। পরিণত চুল অনেক বেশি মোটা হয়। কারোর মাথায় কেমন চুল হবে তা ফলিকলস-এর ওপর নির্ভর করে এবং আমরা প্রত্যেকেই জন্মের সময় নির্দিষ্ট সংখ্যক ফলিকলস নিয়ে জন্মাই। ন্যাড়া করা হলেও এই ফলিকলস-এর সংখ্যা বাড়ে না।

বিজ্ঞান বলছে, চুল ঘন হবে না পাতলা, তা জিনের ওপর নির্ভর করে। তাই ভালো চুলের আশায় বাচ্চাকে বারবার ন্যাড়া করানো আসলে কিন্তু অর্থহীন। ন্যাড়া করার পর যে চুল গজায় তার মুখ মোটা হওয়ায় অনেক সময় মনে হয় যে বেশি চুল গজিয়েছে, কিন্তু তা আসলে সম্ভব নয়।

পিবিএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...