পিবিএ,ঢাকা: একটি যন্ত্রণাদায়ক ও বিরক্তিকর সমস্যার নাম মাথাব্যথা। আর যদি হয় মাইগ্রেনের ব্যথা হয় তবে তা আরো মারাত্বক। এই ব্যথা যে কত ভয়ংকর তা শুধু মাইগ্রেনে আক্রান্তরাই জানেন। মাইগ্রেনের ব্যথা একবার শুরু হলে সহজে তা কমানো সম্ভব হয় না। কিছু খাবার এই ব্যথাকে আরও বহুগুনবাড়িয়ে দেয়। মাইগ্রেনের সময় এই খাবারগুলো না খাওয়াই ভালো। মাইগ্রেনের সময় নিম্নোক্ত খাবারগুলো পরিহার করাই উত্তম।
শিম: যে কোনো ধরনের শিম জাতীয় খাবার মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে মটরশুঁটি জাতীয় খাবার এই সময় না খাওয়াই ভালো।
আচার: মশলাদার খাবার যেকোনো ব্যথার জন্য ক্ষতিকর। যেকোনো খাবারের যেমন শসা, অলিভ, সবজির আচার মাইগ্রেনের ব্যথা বৃদ্ধি করে থাকে।
লাল মরিচ: লাল ক্যাপসিকাম এবং লাল মরিচ মাইগ্রেনের ব্যথাকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। মাইগ্রেনের ব্যথার সময় মরিচ জাতীয় খাবার না খাওয়া ভালো।
কলা: প্রচুর ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ ফল কলা। কিন্তু এই কলাও আপনার মাথা ব্যথা বৃদ্ধি করে দিতে পারে। কলাতে টাইরামিন নামক উপাদান আছে যা মাথা ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। তাই মাথা ব্যথার সময় কলা খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
লেবু জাতীয় ফল: লেবু বা লেবু জাতীয় ফলে টাইরামিন এবং হিসটামিন নামক দুটি উপাদান রয়েছে যা মাথা ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে বলে ধারনা করা হয়।
পিজ্জা: আপনার অতি পছন্দের খাবার পিজ্জা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন মাইগ্রেনের ব্যথার সময়। পিজ্জাতে থাকা ইস্ট মাথাব্যথা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। শুধু পিজ্জা নয় ইস্ট দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবার এইসময় না খাওয়াই ভালো।
চকলেট পানীয় :চকলেট সমৃদ্ধ পানীয় যেমন চকলেট মিল্কশেক, চকলেট দুধ ইত্যাদি খাবারও মাথা ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। ট্যানিন, ক্যাফিন ইত্যাদি উপাদানের কারণে চকলেট জাতীয় পানীয় মাথা ব্যথা বৃদ্ধি করে।
এছাড়া অ্যালকোহল, রেড ওয়াইন, ফুল ফ্যাট মিল্ক, পুরাতন চিজ, টক ক্রিম, সসেজ, অলিভ, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই মাথা ব্যথার সময় এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন।