পিবিএ,কুমিল্লা: কুমিল্লার দেবিদ্বারে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে কয়েক দফায় ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর চাচা মো. সফিউল্লাহ দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। মামলার পর বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে অভিযুক্ত কলেজছাত্র ফয়েজ উল্লাহকে (১৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ সময় পুলিশ ফয়েজ উল্লাহর মোবাইলে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপটি উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার ফয়েজ উল্লাহ দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের তেবারিয়া গ্রামের মো. আবদুল আলিম মিয়ার ছেলে এবং দুয়ারিয়া এজি মডেল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
মামলার বাদী সফিউল্লাহ জানান, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী আমার বড় ভাইয়ের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ফয়েজ উল্লাহ সম্পর্কে তার প্রতিবেশী চাচা হয়। ফয়েজ উল্লাহ বিভিন্ন সময়ে আমার ভাতিজিকে উত্ত্যক্ত করত। গত ২২ মে দুপুরে আমার ভাতিজি ফয়েজ উল্লাহর বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে পেছন দিক থেকে এসে তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক তার ঘরের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখে। ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে পরদিন ২৩ মে দুপুরে একই স্থানে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় তাকে ধর্ষণ করে। পরেও সে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে।
পরে ওই ছাত্রী ঘটনাটি তার পরিবারকে জানালে চাচা সফিউল্লাহ বাদী হয়ে বুধবার দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
দেবিদ্বার থানা পুলিশের ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, অভিযুক্ত ফয়েজ উল্লাহকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিকেলে ভিকটিম ওই মাদরাসাছাত্রী ঘটনার বিষয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
পিবিএ/এসডি