পিবিএ,নরসিংদী: নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী সহিংসতায় মাধবদীতে পৃথক সংঘর্ষে নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় আহতদের নরসিংদী জেলা হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান আহতদের স্বজনরা। গত ৩১ মার্চ সদর উপজেলা নির্বাচনে জয়-পরাজয় ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে মাধবদীর আমদিয়া, মহিষাশুড়া, কাঠালিয়া ইউনিয়নে এসব ঘটনা ঘটে।
নেয়ামত উল্লাহগংদের হামালায় গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন আমদিয়া ইউনিয়নের মৃত হোসেন আলীর ছেলে হাবীবুর রহমান (হাবি মিয়া)। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন নকো মিয়া ও তার শ্বাশুড়ী আনোয়ারা বেগম। তারা সবাই আনারস মার্কার সমর্থন ছিল। এঘটনায় বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মাধবদী থানায় আহত হাবীর স্ত্রী আছমা বাদী হয়ে পাঁচ জনে বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করেন। যাহার নং-০৪ তারিখ-০৪/০৪/১৯ দ্বারা-১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৫৪/৩৭৯/৪২/১১৪/৫০৬।
এ মামলার আসামী নেয়ামত উল্লাহ এর কাছে জানতে চাই তিনি জানান, তিনি নৌকা মার্কার সমর্থন ছিলেন নির্বাচনী সহিংসতায় উভয়ের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। এতে তার দুই ছেলে নুরুজ্জামান (২৮) ও মনির হোসেন প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিসৎসাধীন রয়েছে। নেয়ামত উল্লাহ বাদী হয়েও একটি মামলা দায়ের করেন মাধবদী থানায়।
এদিকে গত বুধবার (৩ এপ্রিল) কাঠালিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনে আনারস মার্কার সমর্থক ডৌকাদী গ্রামের মৃত: আকবর হোসেন এর ছেলে আলী হোসেন আলীকে মারধর করেছে নৌকার সমর্থক স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর ইসলাম। ইউপি সদস্য নুর ইসলাম আলী হোসেনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমুক প্রদান করছে বলে জানান তিনি।
এর আগে নির্বাচনের দিন বাড়ি ফেরার পথে পুর্বশুত্রুতার জের ধরে হামালার শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে মহিষাশুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মিলন মিয়া। সে একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বালুসাইর আলগা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ হামলার ঘটনায় ২৯ জনকে আসামী করে মাধবদী থানায় মামলা দারের করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ।
পিবিএ/কেএস/হক