মানবতার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম

এম এম হেলাল উদ্দিন : জনদরদী জাহাঙ্গীর আলমকে চিনি কলেজ জীবন থেকে। মেয়র নির্বাচিত হয়ে জাহাঙ্গীর তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ছাত্রজীবন থেকেই তার ব্রত ছিল মানুষের জন্য কিছু করা। লক্ষ্য করেছি, আমাদের পারিবারিক কোন দাওয়াতে জাহাঙ্গীরকে পাইনা বললেই চলে। কিন্তু যখনই এলাকার কথা বলি, অমনি ছুটে আসে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতের কথাই বলি, খবর পেলাম মোল্লাবাড়ি সড়কে একজন বৃদ্ধার লাশ রাস্তায় পরে আছে। নিজে গিয়ে তৎক্ষণাত মেয়রকে জানাই। তিনি রাত সারে ১০টার দিকে আসলেন। দাফনের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিলেন।

এমন বন্ধু পেয়ে আমি এবং আমরা গর্বিত। মানুষের জন্য কিছু করার মাঝে যে আনন্দ, তা জাহাঙ্গীরের প্রতিদিনের কাজের অংশ হয়ে গেছে। তাই যখনই মানুষের কোন বিপদ দেখে সবার আগে সেই ঝাপিয়ে পরে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধেও তার ব্যতিক্রম হয় নি।

 

মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু সে করার চেষ্টা করে। তার অতি সামান্যই গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। সবাই যখন নিন্মবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবে। জাহাঙ্গীর তাদের কথাও ভাবে যারা চক্ষু লজ্জায় বলতে পারে না। সাংবাদিক, শিক্ষকসহ যেই তার দরজায় কড়া নাড়ে সাধ্য অনুযায়ী সহযোগীতা সে করে। এমন হাজারো উদাহরণ আছে।

 

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে তার উদ্যোগ দেশে বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। জানুয়ারীতে যখন চীনে ব্যাপক করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। তখন জাহাঙ্গীর চীনে ১০ লাখ মাস্ক সরবরাহ করে। তাই এই কঠিন মহামারি সম্পর্কে সে অনেকের আগে থেকেই অবহিত। বাংলাদেশে এর প্রভাব শুরু হতেই সে দেশের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়। প্রথমে শুধুমাত্র গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কথা মাথায় রেখে সিঙ্গাপুর ও চীন থেকে আমদানি করেন। ১০ লাখ মাস্ক, ৩ লাখ পিপিই আমদানী করা হয়। পরবর্তিতে আরও তিন ধাপে এসব সরঞ্জাম আনা হয়েছে। দেশের প্রধান প্রধান হাসপাতাল, চিকিৎসক, গণমাধ্যম কর্মী, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে এসব সরঞ্জাম দেয়া হচ্ছে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন জনবহুল এলাকা। এখানে শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের সংখ্যাই বেশী। তাদের হিসাব মেয়রের নখদর্পণে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পাবার সাথে সাথে ৫০ হাজার মানুষের খাবার সরবরাহ করার কর্মসূচি শুরু করেন। পরে তা বাড়িয়ে ৮০ হাজার করা হয়েছে। তবে অবস্থা দৃষ্টে বুঝা যাচ্ছে। এই সাহায্যের পরিমান কয়েক লাখ ছাড়িয়ে যাবে। গাজীপুর সিটি মেয়রের কাছে প্রতিদিন দলে দলে মানুষ ছুটে আসেন। শুধু যে গাজীপুর, তাই না- আশপাশের জেলার মানুষও আসে। এই ক্রান্তিলগ্নে কাকে ফেরাবে। তাই সবাইকে তিনি খাদ্য সাহায্য করছেন।

আজ যখন লিখছি বাংলাদেশসহ সারা বিশে^ মহামারি করোনার ভয়াল থাবা। ধনী দরিদ্র থেকে রাষ্ট্রপ্রধান কেহই এর থেকে মুক্ত নন। তাই অন্যের সমালোচনা করবো না। তবে এটুকু বলবো কাজ করতে গেলে মানুষের ভুলত্রুটি থাকবে। একজন কর্মব্যস্ত মেয়র হিসাবে তার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। তারপর একথা রুঢ় হলেও সত্য গাজীপুরে সব মানুষই জাহাঙ্গীরের হিতাকাঙ্খি হবে তাও না। খাদ্য সহায়তা বিতরণে হয়ত হতে পারে কোন ত্রুটি ছিল। একথাতো সত্য যেই পাক সেও আমাদের মত মানুষ। তাই আমার লোকটি পায়নি বলে মেয়রের ঘারে সব দোষ চাপিয়ে দায়মুক্ত হবো এটা হওয়া উচিত নয়। এই করোনা মহামারিতে আমাদের যাদের নুন্যতম সামর্থ রয়েছে তাদের সবার উচিত মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক মানুষের পাশে দাড়ানো। নেহত যদি মনেও হয় খুব বেশী সমস্যা হচ্ছে তবে সমালোচনা না করে মেয়রকে সরাসরি বলাই হবে ভাল। কারন তিনি শুধুমাত্রই একজন ব্যক্তি নন, আপনার এবং সকলের মেয়র। তাকে যে কোন অভাব অভিযোগ বলা আপনার আমার সকলের অধিকার।

 

গাজীপুরের সাধারণ মানুষ যে আস্থা এবং আশা নিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে নির্বাচিত করেছেন। তিনি প্রতিদিন সেই আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন। গাজীপুর সিটির সাধারণ মানুষের মাঝে জাহাঙ্গীর মানেই শেখ হাসিনার সুযোগ্য প্রতিনিধি। মানুষের জন্য এই সেবার ব্রত আরো অনেক দিন অব্যহত থাকুক এই প্রত্যাসা।

লেখক : সাংবাদিক ও সমাজকর্মী
১৪ এপ্রিল ২০২০

আরও পড়ুন...