‘মানহানিকর বক্তব্য’: বিদিশাকে লিগ্যাল নোটিস

‘মানহানিকর বক্তব্য’ : বিদিশাকে লিগ্যাল নোটিস
সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক

পিবিএ ঢাকা: চেয়ারম্যান জি এম কাদের সম্পর্কে দেওয়া ‘মানহানিকর বক্তব্য’ প্রত্যাহারে বিদিশা সিদ্দিককে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে।

জি এম কাদেরকে ‘বাধা’ বলছেন বিদিশা, অপরপক্ষে মামলার হুমকি

বুধবার জাতীয় পার্টির উপ-দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জাপার সহযোগী সংগঠন জাতীয় যুব সংহতির যুগ্ম আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আবু ওয়াহাবের পক্ষে মঙ্গলবার আইনজীবী এম এম সালাহ্উদ্দিন আহম্মেদ এ আইনি নোটিস পাঠান।

বিদিশা ১৫ দিনের মধ্যে ‘বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে’ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিসে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, “আপনি বিশেষ কোনো মহলের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে জি এম কাদের সাহেবকে রাজনৈতিকভাবে হেয় ও ইমেজ ক্ষুন্ন করার মতো ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত রয়েছেন। যা যুব সংহতি ও জাপার লাখো লাখো নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারছে না।

“নোটিশপ্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে আপনি বিভিন্ন পত্রিকায় ও মিডিয়ায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে যে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রত্যাহারের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় আমার মোয়াক্কেল আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।”

জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশার বলেছেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শাহতা জারাব এরিককে দেখভালের ক্ষেত্রে তার চাচা ও দলের বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদের মূল বাধা।

চলতি বছরের জুলাইতে মৃত্যুর আগে এরশাদ তার সব সম্পত্তি দান করে যান ট্রাস্টে। ছেলে এরিকের দেখভাল করার জন্য এ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। ট্রাস্টের সদস্য হিসেবে এরিক আর ভাতিজা খালেদ আখতারকে রাখলেও ভাই কাদেরকে রাখেননি এরশাদ।

গত ১৪ নভেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট পার্কে ছেলে এরিকের সঙ্গে অবস্থান নেওয়া বিদিশা অভিযোগ করছেন, এই বাসায় এরিকের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা তার ছেলের স্বাস্থ্যের প্রতি ‘অবহেলা’ করেছেন। এরশাদের ব্যক্তিগত গাড়িচালক এরিককে ‘মারধর’ করেছেন।

‘নিরাপত্তাহীনতায়’ ভুগতে থাকা এরিক মা বিদিশাকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট পার্কে থাকতে চান জানিয়ে গত ১৮ নভেম্বর গুলশান থানায় জিডি করেন।

বিদিশার ওই অভিযোগের পর তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন জি এম কাদের।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...