মানিকগঞ্জে ৪২নারীর হাতে ৫১ রকমের পিঠা

পিবিএ, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে নারী সংগঠন আলোর পথিকের আয়োজনে হয়ে গেলো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব। সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চরমত্ত গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত উৎসবে ৪২ জন নারী তাদের হাতে তৈরী ৫১ রকমের পিঠা প্রদর্শন করেন। নিরাপদ খাদ্য ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় গ্রামীণ নারীর লোকায়ত জ্ঞানের চর্চা ও স্বীকৃতি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
নারীদের পিঠা উৎসবে প্রদর্শন করা পিঠার মধ্যে পাটি শাপটা, চিতই পিঠা, চুড়ি পিঠা, কাঁঠাল পাতা পিঠা, তেল পিঠা, বিস্কুট পিঠা, ছিটরুটি পিঠা, ডিম পিঠা, সমুচা পিঠা, মোহন বাঁশি পিঠা, মাছের কাঁটা পিঠা, রুটি পিঠা, তিল পুলি, শামুক পিঠা, দুধ পুলি, গোল পিঠা, ফুল পিঠা, জানালা পিঠা, সেমাই পিঠা, লাভ পিঠা, সিরিঞ্জ পিঠা, মোরক সংশা, পাকন, মুঠা পিঠা, সাজ পিঠা, ভাপা পিঠা, গুলি পিঠা, চিরুনী পিঠা, সিম পিঠা, তারা পিঠা, মোরগ পাখি, পুতুল পিঠা, চুকুই পিঠা, কামরাঙ্গা পিঠা, বাদাম পিঠা, মুখশলা, ভাজা পুলি, কাচি পিঠা, দইলা পিঠা, চাটি পিঠা, দুধচিতই, সেমাই পিঠা, বড়া, নারিকেল পিঠা, তালের পিঠা, জামাই পিঠা, তিল পুলি, লবনাঙ্গ লতিকা, জবদানা, ভাপা পুলি, সিদ্ধ পুলি, নিমকী, পাতা পিঠা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
উৎসবে ৪১ রকমের পিঠা প্রদর্শন করে প্রথম স্থান অধিকার করেন কল্পনা বেগম, ২৭ রকম পিঠা প্রদর্শন করে দ্বিতীয় হন নুরুন্নাহার বেগম এবং ২১ রকম পিঠা প্রদর্শন করে তৃতীয় হন রাজেদা বেগম।
পিঠা উৎসবে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হানিফ মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন সরদার, কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিপ্লব হোসেন সেলিম, প্রধান শিক্ষক আলফাজ আলী, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়সহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
উৎসবে বক্তারা বলেন, এসব পিঠা আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্য, যা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে এসব পিঠার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। নারীরা বেশী বেশী করে পিঠা বানাতে হবে, তবেই আমাদের এই সংস্কৃতি টিকে থাকবে।”
পিঠা উৎসবে প্রথম স্থান অধিকারকারী কল্পনা বেগম বলেন, “আমি আমার মা, শ্বাশুরীকে দেখেছি পিঠা বানাতে। তাদের কাছেই শিখেছি কিভাবে পিঠা বানাতে হয়। আগের দিনে মানুষ যত ধরণের পিঠা খাইতো এখন মানুষ পিঠা বানানোও কষ্ট মনে করে বানাতে চায়না।
পিবিএ/এমআইএম/জেডআই

আরও পড়ুন...