পিবিএ ডেস্কঃ আল্লাহ মানুষকে মন্দ নামে ডাকা বা উপহাস করতে নিষেধ করেছেন।
এ উপলক্ষে কোরআনে আল্লাহ বলেন : ‘হে ঈমানদারগণ। তোমাদের কোন পুরুষ যেন অপর কোন পুরুষকে উপহাস না করে কেননা সে উপহাসকারীদের অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী যেন অন্য কোন নারীকে উপহাস না করে কেননা তারা উপহাসকারিণীদের অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। আর তোমরা একে অন্যকে দোষারোপ করো না এবং একে অন্যকে মন্দ নামে ডেকো না, ঈমান আনার পর মন্দ নামে ডাকা গর্হিত অপরাধ। আর যারা এহেন অপরাধ থেকে তওবা না করে তারাই প্রকৃত জালেম। (সূরা হুজরাত ৪৯:১১)
তাই প্রতিটি মানুষের উচিত কারো চালচলন বা আচরণ নিয়ে কোন ধরনের বিব্রতকর মন্তব্য না করা। কোন অবস্থাতেই কাউকে গালিগালাজ না করা।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল (সা.) স্পষ্ট বলে দিয়েছেন- মুসলমানকে গালিগালাজ দেয়া ফাসেকি এবং মুসলমান মুসলমানের সঙ্গে লড়াই করা কুফরী। (বুখারী ৩৬১১)
যখন কোন মুসলমান অন্য কোন মুসলমানকে গালিগালাজ (সহকর্মী বা অধীনস্থ হোক) করে তখন সে মারাত্মক ইসলাম বিরোধী কাজে লিপ্ত হয় ও ইসলাম থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়। তাই আমরা যারা ইসলাম থেকে বিচ্যুত হতে চাই না তাদের উচিত ভুলক্রমেও কাউকে গালিগালাজ না করা।
আমাদের সমাজে গালিগালাজ এমনভাবে সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে যে, এটাকে কেউ অপরাধ মনে করে না। এমনকি এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে, এক ব্যক্তি আর এক ব্যক্তিকে ফাসেক বা কাফের বলে অভিহিত করে। অন্যকে কাফের বলা মারাত্মক অপরাধ।
হযরত আবু যার (রা.) হতে বর্ণিত। নবী করীম (সা.) বলেন, এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে ফাসেক বা কাফের বলে অভিহিত করো না। যাকে অভিহিত করা হয়, সে যদি তা না হয়ে থাকে, তাহলে তা অভিহিত কারীর প্রতি ফেরত আসবে। (বুখারী ৩৫১২)
কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে কাফের বলে গালি দিলে যার ওপর গালি আরোপ করা হলো সে যদি কাফের না হয় তাহলে গালিদানকারীর দিকেই কাফের হবার অভিশাপ ফেরত চলে আসবে।
আমরা যেন প্রত্যেকেই মানুষকে গালিগালাজ করা থেকে বিরত থাকি। কেননা গালমন্দ অভিশপ্ত আগুনের মতো যা মানুষের সমস্ত নেক আমল ধ্বংস করে দেয় ও মানুষকে কাফের হবার পথ ধরে এগিয়ে নিয়ে যায়।
পিবিএ/এমএস