পিবিএ, বাণিজ্য ডেস্ক– মার্কিন বাজারে চীনা পোশাকের রপ্তানি কমেছে, বেড়েছে বাংলাদেশি পোশাক পণ্যের চাহিদা। চলতি বছর প্রথম ৯ মাসে সেদেশে বাংলাদেশি পোশাকের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬ শতাংশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন নতুন ক্রয় আদেশ বাড়ছে। যদিও মার্কিন বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির এ প্রবণতা দীর্ঘস্থায়ী হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা।
চীনের সাথে বড় অংকের বাণিজ্য ঘাটতিকে আমলে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন স্থানীয় শিল্প সুরক্ষায় একের পর এক চীনা পণ্যে শুল্কারোপ করছে বছরের শুরু থেকেই। শুল্কহার বৃদ্ধিতে সেদেশে চীনা পোশাকের রপ্তানি কমেছে, গেলবছরের শেষদিকে মার্কিন বাজারে চীনা পোশাকের দখল ছিল ৩৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ যা বর্তমানে ৩৩ শতাংশের নিচে নেমে গেছে।
অন্যদিকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ কোটি ডলারের বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। পোশাক ব্যবসায়ীরাও বলছেন বাড়তি ক্রয়আদেশ পাচ্ছেন তারা।
বিজিএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান পিবিএকে বলেন, চীনের উপরে যে ট্যারিফটা এসেছে এতে তাদের পণ্যের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে পণ্য নেয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা ভবিষ্যতে আরও বেড়েছে।
বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি সম্প্রতি বাড়লেও যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ধারাবাহিক ও স্থিতিশীল নয় বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
কোনো কোনো ব্যবসায়ী নেতাও বলছেন চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক যুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের সময় এখনো আসেনি।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান পিবিএকে বলেন, এ ধরনের বাণিজ্যযুদ্ধগুলো বিশ্বব্যাপী পণ্যের চাহিদা অনেক কমিয়ে দেয়। এতে করে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো রপ্তানি বাজারে একটা সংকটের মধ্যে পড়তে পারে।
এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ পিবিএকে বলেন, হঠাৎ করে কিছুটা ভালো মনে হতে পারে কিন্তু এটা কোথায় গিয়ে শেষ হয়ে সেটা দেখার পরই আমদানিকারকরা মূল সিদ্ধান্ত নেবেন।
বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সবচে বড় বাজার। চীন ও ভিয়েতনামের পর যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।
পিবিএ/এমটি/এইচএইচ