মাল্টা চাষে সফলতার গল্প শুনতে আসে গ্রামবাসী

পিবিএ,চুয়াডাঙ্গা: মাল্টা পাহাড়ি ফল হিসেবে পরিচিতি হলেও সমতল ভূমিতেও রয়েছে এ ফলের ব্যাপক সম্ভবনা। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় অসম্ভবকে সম্ভব করে ৪২ বিঘা জমিতে মালটা চাষ করেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবুল । পাহাড়সম পথ পাড়ি দিয়ে এখন সফলতার দার প্রান্তে তিনি।

দামুড়হুদার ভগিরথপুর গ্রামের শিক্ষক আব্দুর রহিম ছেলে সাখাওয়াত হোসেন বাবুল। তিনি দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্য বড়। ২০১৩ সালের প্রথম দিকে খুলনা কৃষি গবেষণা ইনিষ্টিটিউট থেকে দুই হাজার টাকা দিয়ে ২০টি বারি মালটা-১ জাতের গাছ কেনেন। গাছ গুলো প্রথমে ১৪ কাঠা জমিতে রোপন করে নিজ গ্রামের মাঠে। গাছ লাগানোর এক বছর পর তিনি গাছ গুলো কলম করে চারা গাছ তৈরি করেন। এরপর গ্রামের ৫ জন কৃষকের কাছ থেকে ১২ বছরের জন্য বিঘা প্রতি বছরে ৮ হাজার টাকায় লিজ নেন । কয়েক বছর পর আরও ৩৪ বিঘা জমি লিজ নিয়ে জমিতে প্রায় ছয় হাজার কলম মালটার চারা গাছ রোপন করেন।

বর্তমানে একই দাগে ৪২ বিঘা মালটা আছে তার । গাছ লাগানোর দুই বছর পর ফুল আসতে শুরু করে। কিছু কিছু গাছের ডালে ডালে মালটা ফলে ভরা।

মালটা বাগান করতে ৫ বছরে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২৯ লাখ টাকা। উচুঁ জমিতে মালটা গাছ রোপন করতে হয়। বাগানে রাসায়নিক সারের চেয়ে জৈব সার বেশি ব্যবহার করা হয়। ৫-৬ হাত দুরুত্বে গাছের চারা রোপন করতে হয়। একটি মালটা গাছ থেকে বছরে ৩২০-৩৮০টি ফল পাওয়া যায়।

বাগান মালিক সাখাওয়াত হোসেন বাবুল জানান, মালটা বাগান করার সময় গ্রামের মুরুব্বিরা বলতেন বাবুল গাছ পাগল। কারণ ধান,পাট ও গম চাষ করাই কঠিন সেখানে মালটা চাষ পাগলামি। এখন তার সফলতা দেখে সবাই আশ্চর্য! কাছে ডেকে শুনতে চায় পাগলের গল্প। তাছাড়াও যেকোন গাছ লাগানো তার নেশাই পরিনিত হয়েছে ।

দামুড়হুদার নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক জানান, বাবুলের সফলতা দেখে গ্রামের অন্য বেকার
শিক্ষিত যুবকরা মালটা বাগান তৈরি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। যুবকরা মালটা চাষ করলে গ্রামে বেকারত্ব
হ্রাস পাবে বলে মনে তিনি।

পিবিএ/টিটি/জেডআই

আরও পড়ুন...