মাসুদ আজহারের মৃত্যুর খবর ভিত্তিহীন!

masood-azhar

পিবিএ ডেস্ক : দুই দিন আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেছিলেন, তাদের দেশেই আছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার। তবে গুরুতর অসুস্থ মাসুদ এখন বাড়ি থেকেই বের হতে পারে না। আজ সোমবার কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করে যে, মাসুদের মৃত্যু হয়েছে। কেউ বলে, অসুস্থতার জেরে মৃত্যু! কেউ বা বলে, ভারতের সেনা অভিযানেই নাকি নিহত হয়েছেন তিনি। কিন্তু খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেনি কেউই। রাতের দিকে জইশ-ই-মোহাম্মদের পক্ষ এক বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়, মাসুদ সুস্থই রয়েছেন।

একটি পাক চ্যানেলও দাবি করেছে, মাসুদ বেঁচে আছে এবং ভাইরাল হয়ে যাওয়া খবরটি ‘ভুল’। পাক চ্যানেলের দাবি, জইশ প্রধানের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রেই তারা জেনেছে, মাসুদ জীবিত। পাক সরকার অবশ্য এ বিষয়ে নিরবতা অবলম্বন করছে। তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমার কাছে কোনও খবর নেই।’ রাত পর্যন্ত ভারত সরকারও কিছু বলেনি।
অথচ আজ দিনভর ফেসবুক, টুইটার কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে মাসুদের ‘মৃত্যুসংবাদ’ সংবলিত লিংক পেয়েছেন অনেকেই। এসব লিংকে দাবি করা হয়েছে, কিডনি বিকল হয়ে গতকাল বিকেলে ইসলামাবাদের সেনা হাসপাতালে মারা গিয়েছে মাসুদ। কারও বক্তব্য আবার, বালাকোটে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বোমার আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে জইশ প্রধানের।

একটি প্রতিবেদনে এটাও লেখা হয়েছে যে, ‘ভারতের অভিযানে মাসুদ এবং প্রাক্তন আইএসআই অফিসার কর্নেল সেলিম গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে সেলিমকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মাসুদ মারা গেছেন ২ মার্চ।’ টুইটারে ‘#মাসুদ আজহার ডেড’ ট্রেন্ডিং। ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাসুদের চিকিৎসা চলছে-এর বাইরে তাদের কাছে কোনও খবর নেই। একটি সূত্রের বক্তব্য, মাসুদের শেষ অডিও বার্তা প্রকাশিত হয়েছিল গত ৫ ফেব্রুয়ারি। ভারতের নজর ঘোরাতে মাসুদের মৃত্যুর খবর পাক সরকারই বেনামে ছড়াচ্ছে কি না, এমন সন্দেহও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অন্যদিকে, ভারতের ‘শৌর্য’ প্রচারে কোনও মহল মাসুদের মৃত্যুসংবাদ রটাচ্ছে কি না, জল্পনা রয়েছে এটা নিয়েও।

পিবিএ/জিজি

আরও পড়ুন...