পিবিএ, ডেস্ক: ইদানিংকার সময়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রে নায়িকাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেওয়ার রেকর্ড এতদিন ছিল মাহিয়া মাহির। অবশ্য তার আগে অনেকের কাছ থেকে শোনা যায় শাবনূর ১৫/২০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন কয়েকটি ছবিতে।
অবশ্য সেটা চলচ্চিত্রের সোনালী যুগের কথা। সেই শাবনূর এখন হারিয়েই গেছেন। চলচ্চিত্রের সোনালী যুগ এখন দূর অতীত। বর্তমান চলচ্চিত্রের মন্দা সময়ে বছরে আর কয়টাই বা ছবি নির্মিত হয়। তার উপর শাকিব খান রাজত্বে ৪০/৫০ লাখ টাকা পারিশ্রমিকে অন্য নায়িকা বা অভিনেতা/অভিনেত্রীদের যথা পারিশ্রমিক আর কতই বা দিতে পেরেছেন প্রযোজক। সেখানে মাহি বা অন্য কারও দ্ইুয়ের অংকে পারিশ্রমিক উঠাতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। আর সেটা পেরেছিলেন মাহি। তারও আগে শাকিবের ছায়ায় বেড়ে উঠা অপু বিশ্বাস পারিশ্রমিকের এমন অংক ছুঁতে পেরেছিলেন বলেও শোনা যায়।
যাই হোক মাহিয়া মাহি ‘পবিত্র ভালোবাসা’, ‘জান্নাত’, ‘অবতার’, ‘মন দেব মন নেব’, ‘মনে রেখ’ ছবিগুলোতে অভিনয়ের জন্য ১০ লাখ করে টাকা নিয়েছিলেন। এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘সাপলুডু’তে ১০ লাখ নিয়ে মাহির সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছিলেন বিদ্যা সিনহা মিম। এবার সেটিকেও ছাড়িয়ে গেলেন মিম নিজে। নাম ঠিক না হওয়া নতুন একটি ছবিতে ১২ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন, যা বর্তমান সময়ে কোনো অভিনেত্রীর জন্য সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক। ঈদ শেষ হলো, এখন শুরু হবে ছবিটির শুটিং। মিমের সাফ কথা- ছবি করলে কমই করবেন। তবে এখন থেকে পালিশ্রমিকের বেলায় আপোষ করবেন না তিনি। ছবিপ্রতি ১২ লাখ পারিশ্রমিক নীতিতে অটল থাকবেন।
এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, আমি বছরে তিন-চারটির বেশি ছবি করি না। ফলে পারিশ্রমিক না বাড়িয়ে উপায় নেই। অন্যরা বছরে আট-দশটি ছবি করে। তাদের পারিশ্রমিকের গড় করলে দেখা যাবে তারাও আমার মতোই আয় করে। মিম পারিশ্রমিক পলিসির ব্যাখ্যা করলেন এভাবে- এই পারিশ্রমিক নীতি অবশ্য শুধু প্রতিষ্ঠিত পরিচালক, নায়ক ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের জন্য। নায়ক, পরিচালক ও প্রযোজক নতুন হলে পারিশ্রমিক আরো বাড়বে। সে ক্ষেত্রে অঙ্কটা ১৫ থেকে ১৭ লাখও হতে পারে। সবই আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে। তবে আপোষ করে ছবি করবেন না এটা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। যাই হোক মন্দার এই বাজারে মিম-মাহিরা তাদের পারিশ্রমিকের ঘরটা কতদিন হৃষ্টপৃষ্ট রাখতে পারেন সেটাই প্রশ্নসাপেক্ষ।
পিবিএ/বিএইচ