পিবিএ ঢাকা: নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন খান দুই সপ্তাহ আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। অতিরিক্ত সচিব ও কবি আফতাব আহমেদকে বিয়ে করেন তিনি। ছোট পরিসরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় গুলতেকিনের বাসায়। এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে বেশ কিছু গণমাধ্যমে।
সবার মনেই কৌতুহল মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কী ভাবছেন তার ছেলেমেয়েরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বিয়েটা ছিলো সবার সম্মতিক্রমেই। গুলতেকিন তার সন্তানদের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন নতুন করে জীবনটা শুরু করার জন্য।
হুমায়ূন আহমেদ ও গুলতেকিন খানের বড় ছেলে নুহাশ মায়ের বিয়ে নিয়ে নিজের মতামত বলেন, ‘মা শক্ত হাতে আমাদের বড় করেছেন। কখনো কোনো অভাব বুঝতে দেয়নি। মা সবসময়ই আমাদের কাছে আইডল। মা যখন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তখন আমার কোনো দু:খবোধ ছিল না। বরং আমি অনেক খুশি হয়েছি।
আমি মায়ের সঙ্গেই ছিলাম এ ব্যাপারে। তাদের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি। আমি নিজে থেকে মায়ের বিয়ে দিয়েছি। আর এটা লুকানোর কিছু নেই। সামনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানও হবে। এটা নারীদের জন্য নতুন একটা দ্বার উম্মোচন হলো বলতে পারেন।’প্রসঙ্গত, বিয়ের পর আমেরিকায় চলে গেছেন গুলতেকিন। শিগগিরই সেখান থেকে ফিরে বন্ধু-বান্ধব সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করার কথাও রয়েছে। এদিকে বুধবার সন্ধ্যা থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা যাচ্ছে, অনেকেই গুলতেকিনকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। গত অক্টোবরের শেষের দিকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কবি আফতাব আহমেদকে বিয়ে করেন গুলতেকিন। আফতাব আহমেদের সঙ্গে তার ব্যারিস্টার স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটে ১০ বছর আগে। তাদের একমাত্র সন্তান লন্ডনে লেখাপড়া করছেন।
প্রয়াত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের প্রাক্তন স্ত্রী গুলতেকিন খান। হঠাৎ করে মেহের আফরোজ শাওনকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় ভালোবেসে সংসার পাতা হুমায়ূন-গুলতেকিন দম্পতির। তারপর থেকেই একেবারে আড়ালে চলে যান গুলতেকিন।
অন্যদিকে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে গুলতেকিনের বিচ্ছেদ হয় ২০০৩ এ। তাদের এক ছেলে ও তিন মেয়ে। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর সাত বছর পর বিয়ে করলেন তিনি।
পিবিএ/জেডআই