পিবিএ ডেস্ক: ভ্যালেন্টাইন্স ডে কি শুধুই প্রেমিক-প্রেমিকার দিন? একদমই নয়। আজকের দিনটি কাছের মানুষকে মনের কথা বলার দিন। সে কাছের মানুষ বাবা-মা, বাড়ির কোনও সদস্য বা অন্য যে কেউ হতে পারে। এমন এক দিনে বাবা-মায়ের প্রতি নতুন সংকল্প নিতে চলেছে জেন ওয়াই।
ভালোবাসার দিনে নতুন সংকল্প নিতে চলেছে স্কুল শিক্ষার্থীরা। বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়া পছন্দের পাত্র বা পাত্রীকে বিয়ে করবে না তারা। এমনই সংকল্প নিয়ে আজকের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় হাজার হাজার স্কুল শিক্ষার্থী।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের সুরাটের ২০টি স্কুলের ১০ হাজার শিক্ষার্থী আজকের দিনে এই সংকল্প নেবে। শহরের লাফটার থেরাপিস্ট কমলেশ মশালাওয়ালার মস্তিস্কপ্রসূত এটি। তার কথায়, অনেক কমবয়সী কাউন্সেলিং করাতে আসে সম্পর্কের কারণে।
তাদের বাবা-মায়েরা পছন্দের ছেলে বা মেয়েটিকে মেনে নিচ্ছে না। এই নিয়ে মানসিক অবসাদের শিকার সে। অনেকে এই কারণে হঠাৎ বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। কেউ কেউ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
কিন্তু পরে দেখা গিয়েছে এই সম্পর্কের মেয়াদ ক্ষণস্থায়ী। আমি লাভ অ্যাফেয়ারের বিরোধী নই। কিন্তু কমবয়সীদের বুঝতে হবে এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে গুরুজনদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। পরিবারের গুরুত্ব ও মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতন করা দরকার।
এই আইডিয়া নিয়ে বিভিন্ন স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন লাফটার থেরাপিস্ট। তাতে সাড়া মিলেছে ভালোই। শহরের ২০টি স্কুল এতে সামিল হতে রাজি হয়েছে। প্রতিটি স্কুলের সময় অনুযায়ী হবে শপথ অনুষ্ঠান।
ইচ্ছুক পড়ুয়াদের শপথবাক্য হিসাবে একটি কবিতা পড়ানো হবে। তবে এই সংকল্প কি সারাজীবন বজায় রাখতে পারবে শিক্ষার্থীরা? উঠছে এমন প্রশ্ন। মশালাওয়ালার কথায়, অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের সচেতন করা। এখন এটা তাদের উপর নির্ভর করছে যে ভবিষ্যতে এই সংকল্পে তারা স্থির থাকতে পারবে কিনা।
পিবিএ/জেআই