পিবিএ,মির্জাগঞ্জ: ঘূর্নিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবেলায় পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ৫৭টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রেখেছে উপজেলা প্রশাসন। এর প্রভাবে পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সিডর বিধ্বস্ত মির্জাগঞ্জের মেন্দিয়াবাদ থেকে চরখালী হাইস্কুল পর্যন্ত শক্ত বেড়িঁবাধ নির্মান করা হয়েছে। তবে বাঁধের উপর বসবাসকারী মানুষজন আতংকে আছেন কখন ধেয়ে আসে ঘূর্নিঝড় আম্ফান। তবে উপজেলা প্রশাসন থেকে সতর্কমূলক মাইকিং করা হচ্ছে প্রতিটি ইউনিয়নে।
ঘূর্নিঝড় সৃষ্টি হওয়ার পরেই উপজেলা প্রশাসন গত ১৮মে সোমবার উপজেলা প্রশাসন এক জরুরি সভা করে এবং ওইদিন বিকাল থেকে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নেই মাইকিং করে সকল জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর থেকেই সকলকে সাইক্লোন শেল্টারে যেতে অনবরত মাইকিং করছে। সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও সকল ধরনের তথ্যের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। যার হটলাইন নাম্বার (০১৭৩৩৩৩৪১৪৫)। এদিকে করোনার এই মহাদুর্যোগের মধ্যে ঘূর্নিঝড় ‘আম্ফান’ আরেক অসনি সংকেত হয়ে দেখা দিয়েছে উপকূলীয় পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে।
উপজলো নির্বাহী র্কমর্কতা (ইউএনও) মোঃ সরোয়ার হোসেন জানান, ঘূর্নিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় উপজেলার ৬টি ইউিনয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং করে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা, প্রাথমিক চিকিৎসা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বেচ্ছাসেবক এবং মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও সকল ধরনের তথ্যের জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এ ছাড়া সকলের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সাইক্লোন শেল্টারসহ সকল স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা খুলে রাখা হয়েছে।
পিবিএ/হাফিজুর রহমান জিহাদ/বিএইচ