মহিউদ্দিন আল আজাদ,চাঁদপুর: হাজীগঞ্জের ডাকাতিয়া নদীর পলিমাটি ঘেরা বলাখলা ও শ্রীনারায়ণপুর, অলিপুরে চাষ করা হয়েছে মিষ্টি কুমড়ার। পলি মিশ্রিত ডাকাতিয়া নদীর মাটি এ সবজি চাষের বেশ উপযোগী। মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন তাই বলছে।
সরেজমিনে কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাধারণত গ্রীষ্মকালীন ফসলের জন্য অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করা হয়। এ এলাকায় মিষ্টি কুমড়ার পাশা-পাশি চাষ করা হয়েছে খীরা ও শোষা। এসবের ফলনও বেশ ভালো।
হাজীগঞ্জ কৃষি অফিস জানায়, মৌসুমভিত্তিক নিরাপদ শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসল চাষে কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের নিয়মিত উদ্বুদ্ধ করা হয়। এ অঞ্চলের মাটি অপেক্ষাকৃত উর্বর; তাই শাকসবজি আবাদে সময়, শ্রম ও খরচ কম হওয়ায় প্রতি বছরই মিষ্টি কুমড়ার আবাদ দিন দিন বাড়ছে। ফলন ভালো হচ্ছে।
চলতি মৌসুমে বলাখাল, শ্রীনারায়নপুর গ্রাম জুড়ে চাষাবাদ করা হয়েছে হাইব্রীড জাতীয় কুমড়া। এ কুমড়া এখন বিক্রয় হওয়ার সময়। প্রতি বছর এ সময়ে জমিনের প্রায় ৬০ শতাংস কুমড়া বিক্রয় হয়ে যায়। এ বছর কুমড়া চাষ করে বিপাকে পড়েছে কৃষক। কুমড়া জমিনে পেঁকে রয়েছে নেই কোন পাইকার।
প্রতি বছর এ সময়ে ঢাকার কারওয়ান বাজার, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালি, লক্ষীপুর থেকে পাইকার এসে জমিনের কুমড়াগুলো কিনে নিতো। এ বছর পাইকারদের দেখা নেই। ফলে বিপাকে পড়েছে চাষীরা। যদি আর ১০/১৫ দিনের মধ্যে কুমড়াগুলো বিক্রয় করতে না পারে তাহলে মাঠে ইরি-বোরো ধান চাষ করা সম্ভব নয়।
কৃষক ছিদ্দিক বলেন, প্রতি বছর ‘উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করতে আমাদের চিন্তা করতে হতোনা। বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে জমি থেকে কিনে নিতো। এবার কুমড়ার বাজার দরতো নেই, পাইকারো নেই। স্থানীয় বাজারে ৬/৭ কেজি ওজনের একটি কুমড়া ২০/২৫ টাকায় বিক্রয় করছি। তবুও ক্রেতা পাচ্ছিনা।
হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, এ বছর হাজীগঞ্জ উপজেলায় ৬১৮ হেক্টরেরও বেশি জমিতে বাণিজ্যিকভাবে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করা হয়েছে। ক্রেতা না থাকায় বিপাকে পড়েছে কৃষক।
তবে আমরা কৃষকের পণ্য বিভিন্ন পাইকারী বাজারে নিয়ে বিক্রয় করার পরামর্শ দিচ্ছি।