মিয়ানমারের এমন ভুল অগ্রহণযাগ্য: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

mayanmar_bd-PBA

পিবিএ,ঢাকা: মিয়ানমারের উপকমিশনপ্রধান অং কিয়াই মো-কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে বাংলাদেশে সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, ‘সরকারি দপ্তরগুলোর ওয়েবসাইটে ভুল মানচিত্রের দায় মিয়ানমার এড়াতে পারে না। মিয়ানমারের এমন ভুল অগ্রহণযাগ্য।’

মিয়ানমার আবারো বাংলাদেশের সেন্ট মা‌র্টিন্স দ্বীপ‌কে নি‌জের ভূখণ্ড হি‌সে‌বে মান‌চি‌ত্রে দে‌খি‌য়ে‌ছে। এর প্র‌তিবা‌দে পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ের তলবে বিকাল ৩টার দিকে হাজির হয়েছেন মিয়ানমা‌রের উপকমিশনপ্রধান অং কিয়াউ মো।

পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সূত্র জানায়, গত বছরের ৬ই অক্টোবর মিয়ানমার তাদের একটি সরকারি ওয়েবসাইটে একই ধরনের কাজ করেছিল। তখন বাংলাদেশের প্রতিবাদের মুখে তারা সেটি সংশোধন করে। তখন ওই ওয়েব সাইটটি বাংলাদেশের জন্য ব্লুকও করে দিয়েছিল মিয়ানমার। এবার ওই ওয়েবসাইটসহ অন্য সাইটেও তারা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার কিছু অংশকে নিজেদের মানচিত্রে দেখিয়েছে।

মহাপরিচালক বলেন, তখন তারা বলেছিল ‘ভূল তথ্যে’ এমনটি হয়ে গেছে। তারা সংশোধন করে নেবো। অবশ্য তারা সংশোধনও করে। কিন্তু এবার তারা ফের এটি করেছে। এটা কেন হলো? কিভাবে হলো? এটাই আমরা জানতে চেয়েছি।

মহাপরিচালক বলেন, আমরা এ-ও বলেছি তারা আগে ‘ভূল করে হয়েছে’ বলেছিল, এবার তাহলে কিভাবে হলো? এবং তাছাড়া একাধিক সাইটে একই ধরণের প্রচারণা হচ্ছে কেন? এটা বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্বের বিষয়।

এখানে কোন ছাড় নেই মন্তব্য করে মহাপরিচালক বলেন, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তার কাছে জানতে বারবার একই ধরণের উস্কানীর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ভুলের পূনরাবৃত্তি হলে সেটা ‘ভুল’ নয় বরং পরিকল্পিত বলে ধরে নেয়া হয়। জবাবে রাষ্ট্রদূত এবারও অতীতের মতই ‘ভূল হয়েছে’ বলে স্বীকার করেছেন জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, এভাবে মানচিত্রে দেখানোর কোন কারণ ছিল না বলে মন্তব্য করে অনুতাপও করেছেন রাষ্ট্রদূত। মহাপরিচালকের দপ্তরে বসেই মিয়ানমারের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স নেপি’ডতে যোগাযোগ করেছে। শুক্রবার তাদের কর্মদিবসের সূচনাতে প্রকাশিত মানচিত্রের ‘ভুল’ সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন।

উল্লেখ্য গত ক’মাসে মিয়ানমার দূতকে তলবের এটি পঞ্চম ঘটনা।

পিবিএ/এফএস

আরও পড়ুন...