রাজিব নুর : মাঝে কিছুদিন ইত্তেফাকে সহকারী সম্পাদক হয়ে কাজ করেছিলাম। মনে হতো আহারে কী যেন মিস করছি। তাই আবার রিপোর্টিং করতে আসা। অন্য সব রিপোর্টারের মতো আমিও জানি রিপোর্ট কিল হওয়ার বেদনা এবং সেই রিপোর্ট যদি হয় কতিপয়ের দুর্নীতিতে সর্বসাধারণের ভোগান্তির অনুসন্ধান কিংবা নির্যাতিতের কথা।
যাই হোক, আমি সদা সতর্ক থেকেছি আমার কলম যেন কোথাও বন্ধক রাখা হয়ে না যায়। তার মানে এ নয় যে, যা লিখতে চেয়েছি, যা লিখতে পারা উচিত ছিল, সব সময় তা লিখতে পেরেছি। অনেকবারই পারিনি এবং না পারার দায় আমার নয়, তবু না পারার গ্লানিতে মনে হয়েছে, কী দরকার ছিল সাংবাদিকতা করতে আসার। এখন অবশ্য চাইলেই সাংবাদিকতা ছাড়তে পারব, এমন নয়। আবার ছাড়তে পারলেই অন্য কিছু করা মানতে পারব কিনা এ নিয়েও সংশয় আছে। অনেক কিছু লিখতে না পারা থেকেই বুঝেছি সংবাদপত্র মুক্ত হলেই সাংবাদিকের মুক্তি ঘটে না। ওই মুক্তিটা মূলত মালিকের, ক্ষেত্রবিশেষে মালিক-সম্পাদকের। অবশ্য আজকাল যা অবস্থা, তা দেখে দেখে গণমাধ্যমের মুক্তি কতটা ঘটল, তা-ও ভাবি। তাই বলে আপনাকে মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের শুভেচ্ছা জানাব না, তাতো হতে পারে না।
তিন বছর আগে যা লিখেছিলাম, তা দিয়েই আবার শুভেচ্ছা জানিয়ে দিলাম, কিছুই তো বদলায়নি। তাই বলে কি শুভেচ্ছা বিনিময় করব না।
ফেইসবুক থেক সংগৃহীত
লেখক : জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনিয়র সাংবাদিক