
রাজন্য রুহানি,জামালপুর: জামালপুরে একটি শিশু ধর্ষণ মামলায় শিক্ষার্থী ও আইনজীবীদের মধ্যে সংঘর্ষ হবার পর মুখে কালো কাপড় বেঁধে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে তারা এই আল্টিমেটাম দেন।
২৪ ঘন্টার আল্টিমেটামের মধ্যে রয়েছে- ধর্ষকের জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে অতিদ্রুত তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, ১০ মার্চে আদালতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার তদন্তসহ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং আদালত প্রাঙ্গণে হামলার দায় স্বীকার করে নারী ও শিশু বিষয়ক পাবলিক প্রসিকিউটরসহ প্রত্যেকজন পিপি, এপিপিকে ছাত্র-জনতার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে শহরের সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অডিটোরিয়ামের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এই আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
সাধারণ শিক্ষার্থী আমিমুল ইহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস, সাধারণ শিক্ষার্থী নাফিসা আলম দিয়া, নাফিজ শাহরিয়ার কাফি, আহাদ হোসেন, আফরিন জান্নাত আঁখি, রেদোয়ান খন্দকার মাহিন, আরাফাত হোসেন শাকিল, সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষে লিটন রাজ ও সাখাওয়াত হোসেন জনি।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ধর্ষিতা এক শিশুর ন্যায়বিচার পেতে আমরা আদালতে গিয়েছিলাম। কিছু অসৎ আইনজীবী নির্যাতিত ওই শিশুটির আসামির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তারা ধর্ষকের জন্মসনদ জাল করে তাকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক দেখিয়ে জামিন মঞ্জুরের জন্য পাঁয়তারা করছিলেন। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যান আইনজীবীরা। একপর্যায়ে তারা ও তাদের সহকারীরা আমাদের ওপর হামলা চালান। এতে আমাদের শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
একই সঙ্গে ২৪ ঘন্টা মধ্যে আমাদের দেয়া আল্টিমেটাম মেনে নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।