মুজিবশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পাঁচ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা ঢাকা সফর করবেন ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত। দশদিন আলাদা-আলাদা থিমে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন পরিবেশনা। তবে পাঁচদিন সরাসরি সর্বোচ্চ পাঁচশ অতিথি অংশ নিতে পারবেন মূল আনুষ্ঠানিকতায়।
শুক্রবার (১২ মার্চ) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মুজিবশতবর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।
কথা ছিল এক বছর আগেই সাড়ম্বরে জাতি উদযাপন করবে স্বাধীন দেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী৷
সব ঠিক থাকলেও মহামারির বাস্তবতায় রেকর্ডেড অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভার্চুয়াল আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ ছিল এই আয়োজন।
অবশেষে নিয়ন্ত্রিত করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত টানা দশ দিনের অনুষ্ঠানমালা শুরু করতে যাচ্ছে সরকার।
আয়োজক কমিটি জানায়, দশদিনে ভিন্ন ভিন্ন থিমে হবে অনুষ্ঠান। জাতির পিতাকে সম্মান জানাতে তাঁর জীবনীনির্ভর কর্মকাণ্ডে মুজিব চিরন্তন শিরোনামে পাঁচদিন সরাসরি ও বাকি দিনগুলোতে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে বলে জানান আয়োজনের প্রধান সমন্বয়ক।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা সশরীরে উপস্থিত থাকবেন আয়োজনে। ১৭ মার্চ মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট, ১৯ মার্চ শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী, ২২ মার্চ নেপালের রাষ্ট্রপতি, ২৪ মার্চ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। এছাড়া ভিডিও বার্তা দেবেন ফ্রান্স, কানাডা, জাপানের মতো দেশগুলোর প্রধানমন্ত্রীরা।
জানানো হয় দশদিনে ভিন্ন ভিন্ন থিমে উদযাপিত হবে মূল আয়োজন।
দশদিনের থিমগুলো হলো- ১৭ মার্চ- ‘ভেঙেছে দুয়ার, এসেছে জ্যোতির্ময়’, ১৮ মার্চ ‘মহাকালের তর্জনী’, ১৯ মার্চ ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’, ২০ মার্চ ‘তারুণ্যের আলোকশিখা’, ২১ মার্চ ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান, ২২ মার্চ ‘বাংলার মাটি, আমার মাটি’, ২৩ মার্চ ‘নারী মুক্তি, সাম্য ও স্বাধীনতা’, ২৪ মার্চ ‘শান্তি-মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’, ২৫ মার্চ ‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রা’, ২৬ মার্চ, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’।
অনুষ্ঠানস্থলে সর্বোচ্চ ৫শ’ অতিথি উপস্থিত থাকবেন জানিয়ে আয়োজকরা জানান, ২৬ মার্চ উন্মোচন করা হবে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর লোগো।
কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘২৬ মার্চ সুবর্ণ জয়ন্তীর লোগো উম্মোচন করা হবে। আমরা চেষ্টা করছি সুবর্ণ জয়ন্তীর একটা থিম সং তৈরি করতে। আমি আশা করছি, সেটিও হয়তো সেদিন পরিবেশিত হবে।’
মহামারির সতর্কতায় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সবাইকে কোভিড-১৯ এর নেগেটিভ সনদ নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত থাকার বাধ্যবাধকতার কথাও উল্লেখ করেন আয়োজকরা।