পাওনা টাকা চাইলেই যুবসংহতি নেতার হত্যার হুমকি

পিবিএ,কক্সবাজার: কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা লিংকরোড় বিসিক এলাকার বাসিন্দা লোকমান হাকিমের ছেলে আব্দুল খালেক। অন্যদিকে, কক্সবাজার সদরের হাসপাতাল সড়ক সংলগ্ন বঙ্গ পাহাড়ের বাসিন্দা মৃত মুহাম্মদ কালুর ছেলে নুরুল আলম ।

এরা দুজনের মধ্যে বছর দুয়েক আগেও বন্ধুত্বসূলভ দহরম মহরম সম্পর্ক ছিল।সম্পর্কের সুবাদে তারা দুজনেই যৌথভাবে একটি ব্যবসা প্রতিষ্টান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন। ভাগে খালেক এর কাছ থেকে প্রথম দফায় ২ লক্ষ টাকা কাগজে পত্রে নেন নুরুল আলম এর পরে আবারও ব্যবসার কাজে প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে আরও ১ লক্ষ টাকা নেয় সে।

তাদের ব্যবসা কার্যক্রম চলার এক মাসের মাথায় খালেক ওমরাহ করার উদ্দেশ্য সৌদিতে রওনা দেন। এর পরে সৌদি থেকে এসে দেখে তাদের যৌথ উদ্যোগে গড়ে উঠা ব্যবসা প্রতিষ্টান আগের স্থানে নেই, সরিয়ে নেয়া হয়েছে উপজেলা বাজারে।এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হলে এক পর্যায়ে স্টাম্পে লিখিতভাবে সিদ্ধান্ত হয় খালেক এর ৩ লাখ টাকার উপরে প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা করে মুনাফা দিবে নুরুল আলম ।

এর পরে নানাভাবে টাকা ফেরত চাওয়া হলে তার এর উপর হামলা, মামলা, পুলিশি নির্যাতনসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে দিয়েছে। বছর খানেক আগে আবদুল খালেককে টাকা দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে পুলিশ দিয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নেয়া হয়। সেখানে তাকে ক্রসফায়ারের ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ ৩ লাখ টাকা আদায় করে ২ দিন পরে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

এব্যাপারে আব্দুল খালেক বলেন, সম্প্রতি গত ১০ সেপ্টেম্বর একটি কাল্পনিক কাহিনী রচনা করে সাগরের ভাই যুবসংহতি নেতা নুরুল আলমকে অপহরণ দেখিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রচনা করে ছাপানো হয়। যে ঘটনায় কোন অংশে আমি জড়িত ছিলাম না।

তারা মূলত আমার পাওনা টাকা না দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। টাকা চাইতে গেলে ওদিক থেকে বারবার হুমকি আসছে আমাকে হত্যা করে লাশ গুম করার। নুরুল আলম জেলা যুবসংহতি নেতা হওয়ায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ক্ষমতার জোরে মানুষকে চোখে গুনছে না। যখন যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে।

আমি একজন সাধারণ মুদি দোকানি।আমার টাকা গুলো ঘাম ঝড়া । কষ্টে অর্জন করেছি। এমতাবস্থায় আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করছি এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যেন আমার পাওনা টাকা উদ্ধার হয়।

পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...