মো: এনামুল হক,মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি): খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড পাঞ্জাবি টিলা নামক এলাকার বাসিন্দা স্বামীহীন এক সন্তানের জননী পোশাককর্মী মাসুদা বেগম।
১৫ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান সহায় সম্বলহীন স্বামী জামাল শিকদার। স্বামীর মৃত্যুর পর ৪বছরের শিশু পুত্র নয়ন শিকদারকে নিয়ে চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় চাকরী করে সংসার চলে । একমাত্র সন্তানের কথা চিন্তা করে দ্বিতীয় বার বিয়ের পিড়িতে বসেননি মাসুদা আক্তার। ধীরে ধীরে ছেলে বড় হচ্ছে । দু,চোখ ভরা স্বপ্ন ছেলেকে নিয়ে। হয়তো বেশি দিন আর কষ্ট থাকবেনা। সংসারের হাল ধরবে ছেলে। কিন্তু বিধি বাম, মসুদার সে স্বপ্ন অকালে ঝড়ে যাচ্ছে শুকনা পাতার মত। স্বামীর ভিটাবাড়ি না থাকায় চট্টগ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন বিধবা পোশাক শ্রমিক মাসুদা।
গত কয়েক বছর আগে জ্বর হয় ছেলে নয়নের। জ্বর থেকে কিডনি সমস্যা দেখা দিলে দীর্ঘ চিকিৎস্যার পর এক রকম সুস্থ্য হয়। এরই মাঝে দেখা দিয়েছে গলার ডান পাশে টিউমার। টিউমার থেকে ক্যান্সার। ক্যান্সারের চিকিৎসা করতে গিয়ে নিঃশ্ব হয়েছে মাসুদা। পোশাক শ্রমিক কল্যাণ ট্রাষ্টে জমানো সাড়ে তিনলাখ টাকাসহ এপর্যন্ত সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এরই মাঝে আবেদনের প্রেক্ষিতে পলাশপুর জোন ৪০বিজিবি ৫ হাজার টাকা, খেদাছড়া বাজার কমিটি দুই হাজার টাকা এবং বেলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান দুইশত টাকা সহায়তা করেছেন। মাসুদা আক্তার বলেন, ডাক্তার বলেছেন এরকম ক্যান্সার ভালো হবে। তরে এর জন্য সিকিৎসা বাবদ প্রায় ৭/৮ লাখ টাকা খরচ হবে। নিজের বাড়িঘর না থাকায় ছেলের অসুস্থ্যতার কারণে চাকরী ছেড়ে বাবার বাড়ি থাকি। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, দুনিয়াতে একমাত্র ছেলে ছাড়া আমার আর কেউ নেই। ছেলের দিকে তাকিয়ে আমি সুখের চিন্তা করিনি। আপনারা আমার ছেলেকে বাচাঁন। এভাবে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায্যের হাত বাড়ান। সাহায্য পাঠনোর ঠিকানা-মাসুদা আক্তার, রোগীর মা, বিকাশ পার্সোনাল ০১৭৮৫৮৩৪৫৯৯।