পিবিএ,ঢাকা: র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ইজতেমায় কোন মুরব্বী বা দায়িক্ত প্রাপ্তদের কোন প্রকার ব্যার্থতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাদের বা কোনো গ্রুপের কোন ধরনের ভুলে কোনো খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এটা বরদাস্ত করা হবে না।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কাওরানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ইজতেমাকে কেন্দ্র করে গত বছর নানা মত ভেদাভেদের সৃষ্টি হয়েছিল। এবারও সরকারের প্রচেষ্টা ও হস্তক্ষেপে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাই প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে যে ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে, এবার এর সঙ্গে বাড়তি কিছু ঝুঁকি রয়েছে। ইজতেমায় শান্তি-শৃঙ্খলার কোন ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি হলে মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা কেন্দ্র করে তাবলীগ জামায়াতের নেতৃবৃন্দ ও মুরুব্বীসহ দায়িত্বশীলদের ভুল বা কোনো গ্রুপের কোন ধরনের ভুলে কোনো ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
যেভাবে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে সেভাবেই ইজতেমা অনুষ্ঠিত করতে হবে এবং বয়ান ও আখেরি মোনাজাতও সেভাবে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তৃতীয় কোনো পক্ষ সুযোগ নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে, আমরাও সতর্ক থাকব। তার পরেও যদি কেই এই অপচেষ্টা করে তাহলে আমরা তাদের সমূলে বিনষ্ট করব।
এ সময় তাবলীগ জামায়াতের মুরুব্বীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যেহেতু আল্লাহর রাহে কাজ করেন তাই বিশ্ব ইজতেমার শান্তি শৃঙ্খলার পরিবেশ বজায় রাখবেন। আপনারা কোন ধরনের গুজবে কান দিবেন না। আপনাদের আশা পাশে পাশে আমরা সাদা পোশাকে যেমন থাকবো পোশাকেও থাকবো। কিন্তু কোন ধরনের গুজবে কান দিবেন না।
তিনি বলেন, তাবলীগ জামায়াতের মুরুব্বীদের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিয়ত ও যোগাযোগ থাকবে যাতে করে কোন ধরনের গুজব সৃষ্টি হলে আমরা এটা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারি। তাবলীগ জামায়াতের নেতৃবৃন্দদের বলবো কোথাও কোনো তথ্য পেলে সেটি যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। আর চাই না করতে পারলে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন আমরা যাচাই করব। কিন্তু আনভেরিফাইড কোন তদন্ত এই বিশাল মহাসমাবেশে ছড়িয়ে দিবেন না।
র্যাব ডিজি আরো বলেন, আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। সে প্রেক্ষিতে বলতে পারি এই মহাসমাবেশকে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত করতে আমাদের প্রস্তুতি পর্যাপ্ত। কোন ধরনের আশঙ্কা করার কোন কারন নাই। আমরা এই কথাগুলো বলছি যাতে করে বিন্দুমাত্র সন্দেহের সুযোগ না থাকে।আমাদের এবার যে পরিমাণ লোক থাকবে ইউনিফর্মে তার চেয়ে বেশি লোক থাকবে সাদা পোশাকে। প্রত্যেকটা খিত্তাকে ঘিরে এবং বিদেশী মেহমানদের খিত্তাকে ঘিরে আমরা এবার সাদা পোশাকের আবরণ সৃষ্টি করব।
ইজতেমার ময়দানে ক্যাপাসিটি অনুযায়ী র্যা বের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের হেলিকপ্টার টহল থাকবে, মাঠে ড্রোন থাকবে। ইলেক্ট্রিক ইক্যুয়েপমেন্ট দিয়ে ময়দান সুইপিং করা হবে এবং ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। সার্বক্ষনিক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে।
পিবিএ/এফএস